আনন্দবাজার অনলাইনকে পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই রিল নিয়ে বিন্দু-বিসর্গ জানতাম না। সবটাই করেছেন প্রযোজক দেববাবু! নিজেই রিল বানিয়ে আমায় একেবারে চমকে দিয়েছেন!’’ দেখে নিশ্চয়ই মনে হয়েছে, অন্তত এই গানে যদি পর্দায় সত্যিই প্রসেনজিৎ থাকতেন? শুনেই অট্টহাসি।
নতুন জুটি প্রসেনজিৎ-রুক্মিণী?
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-রুক্মিণী মৈত্র জুটি হতে পারে? যাঁরা কোনও দিন ভাবেননি, এ বার তাঁরাও ভাববেন।
ভাবনার নেপথ্য নায়ক দেব অধিকারী! ‘কিশমিশ’-এর নায়িকা রুক্মিণীকে দাঁড় করিয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে। নেপথ্যে ভেসে এসেছে, ‘অবশেষে ভালবেসে চলে যাব’। সদ্য মুক্তি পাওয়া গানের দৃশ্য ফের নতুন ভাবে জন্ম নিল প্রসেনজিৎ-রুক্মিণীর রসায়নে! মেরুন পাঞ্জাবি, সাদা পাজামায় ঝকঝকে ‘বুম্বাদা’। জমিনে রকমারি ফুল নিয়ে শিফন শাড়িতে অনবদ্য রুক্মিণী। সম্ভবত প্রসেনজিতের বাড়ি ‘উৎসব’-এই হয়েছে শ্যুট। সবুজ ঘাসে মোড়া বাগানে তাঁদের রিলবন্দি করেছেন স্বয়ং দেব!
ছবির পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায় তা হলে কী করলেন? আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্নে জবাব এল, ‘‘এই রিল নিয়ে বিন্দু-বিসর্গ জানতাম না। সবটাই করেছেন প্রযোজক দেববাবু! নিজেই রিল বানিয়েছেন। কেটেকুটে তৈরি করেছেন। তার পরে আমায় চমকে দিয়েছেন!’’
দেখে নিশ্চয়ই মনে হয়েছে, অন্তত এই গানে যদি পর্দায় সত্যিই প্রসেনজিৎ থাকতেন? শুনেই অট্টহাসি। রাহুল জানিয়েছেন, গানটি আবার নতুন করে তৈরি করার লোভ হচ্ছে এ বার। এবং সেটা হলে অবশ্যই তাতে টলিউডের ইন্ডাস্ট্রি থাকবেন!
কাজের কারণে কলকাতার বাইরে রুক্মিণী। তাই ফোন ধরতে পারেননি। পরিবর্তে রাহুল জানিয়েছেন, রুক্মিণী এবং তাঁর, দু’জনেরই মুগ্ধ দশা। শ্যুট মিটে যাওয়ার পরে হুঁশ ফিরেছে তাঁদের। তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে।
রাহুল যতটা কৃতজ্ঞ প্রযোজক-নায়কের কাছে, ততটাই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও। তাঁর কথায়, ‘‘আশীর্বাদ করেছেন। শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। এ বার গানের প্রচারে অংশ নিয়ে নিলেন। আর কী চাইব ওঁর থেকে! পাশাপাশি, দেব পরিচালক-প্রযোজকের মনে প্রশ্ন তুলে দিলেন, প্রসেনজিৎ-রুক্মিণীকে নিয়েও তা হলে জুটি বাঁধা যায়!’’