বড় হওয়ার কি কোনও শেষ আছে? নিজের অভিনয় নিয়ে তাই বোধহয় আজও কুণ্ঠিত নায়ক
লোকে বলে তিনি বাংলা ছবির ‘ইন্ডাস্ট্রি’। দুই বাংলার দর্শক আজও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলতে অজ্ঞান। তবু বড় হওয়ার কি কোনও শেষ আছে? নিজের অভিনয় নিয়ে তাই বোধহয় আজও কুণ্ঠিত নায়ক। পুরনো কাজ ফিরে দেখতে ভয় পান। পাছে একগাদা ভুল নজরে পড়ে যায়! মানুষ প্রসেনজিৎকে অনেক বেশি নম্বর দেন নিজে, অভিনেতা প্রসেনজিতের তুলনায়।
আনন্দবাজার অনলাইনের শনিবারের লাইভ আড্ডা ‘অ-জানাকথা’য় এ সপ্তাহের অতিথি ছিলেন ‘বুম্বাদা’। সেখানেই জানা গেল, এত দিনের কর্মজীবন, এত সাফল্যের পরও নিজেকে সেরা মনে করেন না তিনি। এক দর্শক প্রশ্ন রেখেছিলেন, ‘কাউকে হিংসে হয়?’ গুছিয়ে তার জবাব দিয়েছেন নায়ক। বলেছেন, ‘‘বিশাল লিস্ট! বিশাল! কাকে ছেড়ে কার নাম নিই!’’
প্রসেনজিতের নিজেরই দাবি, সমস্ত ভাল অভিনেতাকে হিংসে করেন তিনি। সেই তালিকায় রয়েছেন প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কমল হাসন। সৌমিত্র তাঁর জীবনে বটবৃক্ষের মতো ছিলেন বলে জানিয়েছেন ‘বুম্বাদা’। তাঁর নাটক, ছবি, কবিতা যাপন করেছেন প্রসেনজিৎ। বলেছেন দক্ষিণী নায়ক কমল হাসনের কথাও। যাঁর নতুন ছবি মুক্তির পরে তিনি শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি।
চমক বাকি ছিল আরও। ভাল অভিনয়ে ঈর্ষার প্রসঙ্গে প্রসেনজিতের মুখে এ প্রজন্মের অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী আর ঋদ্ধি সেনের নাম! তাঁদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বর্ষীয়ান অভিনেতা। তাঁদেরও কি তিনি হিংসে করেন? প্রসেনজিতের কথায়, ‘‘ওদের সামনেই বলি, এত ভাল অভিনয় করিস কী করে রে?’’
এত বছর পরে ভাল কাজের এতটাই খিদে টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’র! অভিনয় নিয়ে অহমিকা নেই তাঁর। কারও কাজ মনে ধরলে পিঠ চাপড়ে বাহবা দেন নিজেই। এ তো গেল ইতিবাচক হিংসে। আর নেতিবাচক হিংসে? সঞ্চালকের কৌতূহলী প্রশ্নে বেশ খানিকটা ভেবেচিন্তে জবাব এল ‘বুম্বাদা’র কাছ থেকে। বললেন, ‘‘নিজেকেই বোধহয়!’’ কেন? প্রসেনজিৎ বললেন, ‘‘আরও ভাল কাজ করতে পারতাম।’’