বলিউডের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ প্রিয়ঙ্কার। ফাইল চিত্র।
বলিউডে তাঁকে পাওয়া যায় না, কিন্তু তিনি এখন আন্তর্জাতিক তারকা। ফের নয়া পালক প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার মুকুটে, বিবিসি-র ১০০ জন প্রভাবশালী নারীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মঞ্চ থেকে বলিউডে তাঁর সফর শুরু। একটা লম্বা সময় হিন্দি ছবিতে কাজ করার পর হলিউডে পাড়ি দেন অভিনেত্রী। খুব শীঘ্রই ‘সিটাডেল’ সিরিজ়ে দেখা যাবে প্রিয়ঙ্কাকে। এক কথায়, কেরিয়ারের সেরা পর্যায়ে রয়েছেন অভিনেত্রী।
একটা লম্বা সফর পার করে বলিউডের শুরুর দিনগুলির প্রসঙ্গে মুখ খুললেন প্রিয়ঙ্কা। টিনসেল টাউনের অন্দরে নায়ক ও নায়িকার মধ্যে বৈষম্য কতটা প্রকট, সেটাই তুলে ধরলেন ‘দেশি গার্ল’। বলিউডে নায়িকারা কখনই নায়কদের সমতুল্য পারিশ্রমিক পান না। অভিনেত্রী পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বলেন, ‘‘আমি আমার পুরুষ সহ অভিনেতাদের নিরিখে মোটে ১০ শতাংশ পারিশ্রমিক পেতাম। আমার মনে হয়, এখনও এই বৈষম্য প্রকট।’’
উল্লেখ্য, প্রিয়ঙ্কার মতো কঙ্গনা, করিনারাও সমান পারিশ্রমিকের দাবিতে সরব হয়েছেন বিভিন্ন সময়, তবে চিত্রটা তাতে বদলায়নি। বেশি পারিশ্রমিক চাওয়ায় বাদ পড়তে হয়েছে অভিনেত্রীদের, এমন নজির প্রচুর রয়েছে বলিউডে।
শুধু যে পারিশ্রমিকে বৈষম্য, এমন নয়। প্রিয়ঙ্কা জানান, শুটিং সেটে বাড়তি অনেক সুবিধাই নাকি নায়কদের জন্য বরাদ্দ ছিল। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘সেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেজেগুজে বসে থাকতাম। নায়ক তাঁর সময় মতো আসতেন। তা হলে শুটিং শুরু হত। একটা সময় এই রেওয়াজকেই স্বাভাবিক বলে মনে হতে থাকে।’’
‘কোয়ান্টিকো’, ‘বেওয়াচ’-এর পর রুশো ব্রাদার্স প্রযোজিত ‘সিটাডেল’ নামের কল্পবিজ্ঞান সিরিজ়ে দেখা যাবে তাঁকে। এ ছাড়া ‘লভ এগেন’ ছবিতেও দেখা যেতে পারে প্রিয়ঙ্কাকে। অন্য দিকে ‘জি লে জ়ারা ছবি’-র হাত ধরে বলিউডে ফিরতে চলেছেন অভিনেত্রী।