ছোট্ট মালতীর সঙ্গে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স তার বছর দেড়েক। মা-বাবার খ্যাতিতে এর মধ্যেই খানিক খ্যাতনামী হয়ে উঠেছে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস ও নিক জোনাসের কন্যা মালতী। পুরো নামটি অবশ্য বেশ বড়। মালতী মেরি চোপড়া জোনাস। সমাজমাধ্যমের পাতায় মাঝেমধ্যেই দেখা মেলে তার। কখনও খেলনা গাড়ি নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত, কখনও মায়ের সঙ্গে প্র্যামে চেপে পার্কে। এত দিন মালতীকে নানা ধরনের পোশাকে দেখেছেন নেটাগরিকেরা। ফুল লাগানো হেয়ারব্যান্ড থেকে শুরু করে নামীদামি ডিজ়াইনার ব্র্যান্ডের পোশাকে দেখা গিয়েছে তাকে। তবে এ বার মালতীর পরনে ভারতীয় পোশাক। হালকা বেগনি রঙের লেহঙ্গায় একেবারে খাঁটি ‘দেশি গার্ল’।
বাবা অশোক চোপড়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে সম্প্রতি নিজেদের লস অ্যাঞ্জেলসের বাড়িতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সেখানেই তোলা খুদে মালতীর তিন ‘মুডের’ ছবি প্রকাশ করেছেন তিনি। কখনও লেহঙ্গা পরে হামাগুড়ি দিয়ে দাদুর ছবির কাছে, কখনও আবার মায়ের কোলে।
দশ বছর আগে প্রিয়ঙ্কা তাঁর বাবাকে হারান। ২০১৩ সালের ১০ জুন প্রয়াত হন অশোক। পেশায় সেনাবাহিনীর চিকিৎসক ছিলেন। ‘ড্যাডিজ় লিটল গার্ল’ পরিচয়ে রীতিমতো গর্বিত ছিলেন প্রিয়ঙ্কা। বাবার হস্তাক্ষর দিয়ে নিজের হাতে একটি ট্যাটুও করান। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী এখনও বলেন, বাবাকে তিনি জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে মিস্ করেন। বাবা তাঁর মেয়েকে দেখে যাননি। মালতীও দেখেনি দাদুকে। তাই ছবিতেই দাদুর সঙ্গে তার পরিচয় করিয়ে দেন মা।