সপরিবার পরীমণি। ছবি: সংগৃহীত।
এই সব ভাল, পরমুহূর্তেই সব কিছু যেন অন্ধকার! ঠিক যেমনটা হল দিন কয়েক আগে পরীমণি ও শরিফুল রাজের সংসারে। মাস তিনেক ধরে আলাদা ছিলেন। ছেলে রাজ্যের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের এক দিন পরেই প্রযোজক কৌশিক হোসেন তাপস ও ফারজানা মুন্নীর অফিসে একসঙ্গে দেখা যায় দু’জনকে। ছেলের জন্মদিনের কেক কাটেন। স্বামী বাহুডোরে দেখা যায় পরীমণিকেও। রাজের ফেরা প্রসঙ্গে পরীমণি বলেন, ‘‘ছেলের বাবা ছেলের কাছে ফিরে এসেছে। সবাই আমার রাজ্যর জন্য দোয়া করবেন। ওর মুখের হাসির জন্য আমাদের সব ভুলে যাওয়া।’’ যদিও এই ঘটনার এক দিন পরে শোনা যায়, পরীমণির বাড়ি ছেড়ে ফের বেরিয়ে গিয়েছেন রাজ। তার পর রাজের মাথার ফাটে। ভর্তি করাতে হয় হাসপাতালে। ওই একই দিনে হাসপাতালে ভর্তি হন পরীমণিও। বিস্তর জলঘোলা চলে। খবর রটে যায়, ফের বিবাদে জড়িয়েছেন রাজ-পরীমণি। দু’জনের মধ্যেকার অশান্তি হাতহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। তবে সে সব এখন অতীত। পরীমণির বসুন্ধরার বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন রাজ। ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে ভাল আছেন। তবু আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা শরিফুল রাজ বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে যা ঘটেনি, তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক, এ সব শুনে-দেখে কষ্ট পাচ্ছি আমি। আমি, পরী, রাজ্য— এই নিয়ে আমার ঘর। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হতেই পারে এবং আমাদের মধ্যে কোনও কিছু ঘটলে, যখনই ঠিক করতে যাই, তখনই চারপাশ থেকে কোনও না কোনও একটা ইস্যু তৈরি করা হয়। আমি বিষয়টি নিয়ে খুবই বিরক্ত। সব কিছুর সমাধান হওয়া দরকার। আমার মনে হয়, আমার চারপাশের কিছু মানুষ এই সব বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। মনে হচ্ছে, তাঁরা ভাল চান না, তাঁরা আমাদের ভাল থাকতে দেবেন না।’’
কিন্তু তাঁদের চারপাশের কে বা কারা তাঁদের নিয়ে এই সব বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তা এখনই বলতে নারাজ রাজ।