ওম এবং মিমি।
পয়লা বৈশাখ মানেইখাওয়াদাওয়া। আমি খেতে আর খাওয়াতে খুব ভালবাসি। বিয়ের পর এই প্রথম নববর্ষ।অনেক কিছু রান্না করার কথা ভেবে রেখেছি। এঁচোড় চিংড়ি, চিংড়ি দিয়ে লাউয়ের ছেঁচকি, কষা মাংস। কত রকম রান্নার কথা মাথায় ঘুরছে। ওমের ছুটি থাকলে পঞ্চপদ রান্না করে খাওয়াব ওকে। সঙ্গে বাড়ির সবাইকেও। বাঙালির উৎসব তো খাওয়াদাওয়া ছাড়া অসম্পূর্ণ!
ওম মাঝেমাঝেই বলে, ওর নাকি বাঙালি বৌ পাওয়ার ইচ্ছা ছিল। কারণ সে ওকে বাঙালি পদ রান্না করে খাওয়াবে। এখন সেই স্বপ্নই পূরণ করছি আমি।
পয়লা বৈশাখ যেমন পঞ্চব্যঞ্জন ছাড়া ভাবা যায় না, তেমন নতুন জামা কেনার ব্যাপারটাও আমি মেনে চলি। বিয়ের আগে থেকেই ওমকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে নতুন জামা কিনে দিই ওকে। তার সঙ্গে বাড়ির প্রত্যেকের জন্যই কিছু না কিছু কেনাকাটা করি। আমার আর ওমের দুই ভাইপো আছে। ওদের জন্য উপহার কেনাটা এক্কেবারে বাধ্যতামূলক।
বিয়ের আগের ১লা বৈশাখটা একদম অন্য রকম ছিল। তখন ওমের বাড়ি যেতাম। তবে অতিথি হয়ে। রান্নাবান্না তো আর করতে পারতাম না! এর পরে আমি আর ওম ঘুরতে যেতাম। খেতাম, গল্প করতাম, প্রচুর ছবি তুলতাম। সেই সময়টা একদম অন্য রকম ছিল। অনুভূতিগুলো যদিও এখনও এক।
গত বছর অতিমাতির জন্য এই দিনটায় আনন্দ করতে পারিনি। বরং অদ্ভুত একটা ভয় মনে বাসা বেঁধেছিল। এ বছরও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি সে ভাবে। তাই চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে কাছের মানুষদের নিয়েই আনন্দ করব। মিস্টার অ্যান্ড মিসেস সাহানির প্রথম ১লা বৈশাখ কাটবে প্রিয় রান্না আর নতুন জামার গন্ধে।