মায়ের কষ্টের কথা জানালেন পলক। ছবি: সংগৃহীত।
২০০১ সালে স্টার প্লাসের পর্দায় শুরু হয় এক ধারাবাহিক, টানা ৭ বছর একটানা চলে। ধারাবাহিকের নাম ‘কসৌটি জি়ন্দাগি কি’। প্রেরণা হিসাবেই শ্বেতাকে চেনেন হিন্দি সিরিয়ালের সিংহভাগ দর্শক। এই সিরিয়ালের হাত ধরেই তাঁর খ্যাতি, জনপ্রিয়তা। তার পরেও একাধিক সিরিয়ালে তাঁকে দেখা গিয়েছে। তবে প্রেরণা চরিত্রটির মতো খ্যাতি আর কোনও ধারাবাহিকে মেলেনি তাঁর। তবে তত দিনে নিজের পায়ের তলার জমি শক্ত করে ফেলেছেন শ্বেতা তিওয়ারি। ১৯৮০ সালের ৪ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ে জন্ম শ্বেতার। ছোটবেলাতেই তাঁর পরিবার মুম্বইয়ে চলে আসে। ছোট থেকেই অভিনয় শুরু করেছিলেন শ্বেতা। তবে মুম্বইতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা এতটা সোজা ছিল না। সদ্য বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছে শ্বেতার কন্যা পলক তিওয়ারির। সম্প্রতি মায়ের জীবনের কঠিন দিনগুলির কথা তুলে ধরলেন পলক।
এক সাক্ষাৎকারে পলক বলেন, ‘‘আমার মা জীবনে ভালমন্দ সবটা দেখেছে। মা যখন শুরু করেছে, তখন মুম্বইয়ে চওলের এক কামরার ঘরে থাকত। ওই ঘরে আমার মা, দিদা, দাদু, মামা সবাই একসঙ্গে থাকত। এক দিন আমার দিদা-দাদু মাকে অনেক কিছুই দিতে পারেননি। মা চাননি তাঁর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তেমন কিছু ভোগ করুক।’’
১৯৯৮ সালে রাজা চৌধুরীর সঙ্গে শ্বেতার বিয়ে হয়। তাঁদের কন্যা পলকের জন্ম ২০০০ সালে। তার পরের বছরেই শ্বেতার কেরিয়ার নতুন মোড় নেয়। মোড় ঘুরে যায় শ্বেতার বিবাহিত জীবনেও। ছাড়াছাড়ি হয় স্বামীর সঙ্গে। ফের ভালাবাসা খুঁজে পান শ্বেতা। দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন অভিনেত্রী। তবে পরিণতি সেই এক। এক কথায় বর্ণময় জীবন শ্বেতার। বিয়ে, প্রেম, সংসার, সন্তান এবং পরকীয়া— পর্দার বাইরে তিনি বিপুল সমালোচিত। তবু নিজের কেরিয়ার, অভিনয় থেকে কখনও তাঁর নজর সরেনি।