(বাঁদিকে) অস্কার মঞ্চে পুরস্কার হাতে ক্রিস্টোফার নোলান। কিলিয়ান মার্ফি (ডানদিকে)। ছবি: রয়টার্স।
প্রত্যাশা মতই ফলাফল। বিগত কয়েক মাসে চলচ্চিত্র জগতের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার মঞ্চে জয়যুক্ত হয়েছে ক্রিস্টোফার নোলান পরিচালিত ছবি ‘ওপেনহাইমার’। রবিবার (ভারতীয় সময় অনুসারে সোমবার সকাল) ৯৬তম অ্যাকাডেমি আওয়ার্ডসের মঞ্চেও একাধিক বিভাগে পুরস্কৃত হল ছবিটি।
সোমবার লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে অস্কারের আসর বসে। চলতি বছরে অস্কারে মোট ১৩টি বিভাগে মনোনীত হয়েছিল ‘ওপেনহাইমার’। তার মধ্যে সেরা ছবি, সেরা পরিচালক-সহ ৭টি বিভাগে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে এই ছবি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকার লস অ্যালামস ল্যাবরেটরির অধিকর্তা ছিলেন পদার্থবিদ ও ‘পরমাণু বোমার জনক’ জে রবার্ট ওপেনহাইমার। তাঁর জীবন ও ‘ম্যানহাটান প্রজেক্ট’-এ তাঁর ভূমিকা এই ছবির নির্যাস। সোমবার এই ছবির নামভূমিকায় অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতার অস্কার জিতেছেন ‘পিকি ব্লাইন্ডার্স’ খ্যাত অভিনেতা কিলিয়ান মার্ফি। সেরা সহ-অভিনেতা নির্বাচিত হয়েছেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। চলতি বছরে অস্কারের মঞ্চে সেরা ছবির দৌড়ে ‘ওপেনহাইমার’ ছাড়াও ছিল ‘বার্বি’, ‘কিলার্স অফ দ্য ফ্লাওয়ার মুন’, ‘অ্যানাটমি অফ আ ফল’, ‘মায়েস্ত্রো’-সহ বেশ কিছু চর্চিত ছবি। কিন্তু শেষ হাসি হেসেছে নোলান পরিচালিত ছবিটিই।
এর আগে একাধিক বার মনোনয়ন পেলেও এই প্রথম পরিচালক হিসেবে অস্কার জিতলেন নোলান। অস্কারের ইতিহাসে এর আগে নোলান পরিচালিত বিভিন্ন ছবি মোট ৪৯টি মনোনয়ন পেয়েছিল, যার মধ্যে পুরস্কার এসেছে ১১টি। সোমবার পুরস্কার নিতে উঠে তিনি বলেন, ‘‘সিনেমার ইতিহাস মাত্র একশো বছরের কিছু বেশি। এর পর কী হবে, জানি না। কিন্তু আমি যে তার অর্থপূর্ণ অংশ, সেই উপলব্ধি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’’ অন্য দিকে, নিজের বক্তব্যে পৃথিবীতে শান্তির বার্তার উপর জোর দেন কিলিয়ান। বলেন, ‘‘যে মানুষটা পরমাণু বোমার আবিষ্কারক, আমরা তাঁর বায়োপিক তৈরি করেছি। ভাল হোক বা খারাপ, আমরা সেই জগতেই বাস করছি। যাঁরা বিশ্বশান্তির জন্য কাজ করছেন, এই পুরস্কার আমি তাঁদের উৎসর্গ করছি।’’ এ ছাড়াও, সেরা সিনেমাটোগ্রাফির জন্য পুরস্কার জিতেছেন ছবির ডিওপি হোয়তে ভ্যান হোয়েতেমা। সেরা সম্পাদকের পুরস্কার পেয়েছেন জেনিফার লেম। সেরা মৌলিক সুরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন সুরকার লুডভিগ গোরানসান।
গত বছর জুলাই মাসে ভারতে মুক্তি পায় ‘ওপেনহাইমার’। মুক্তির পরেই দেশের বক্স অফিসে ছবিটি ঝড় তোলে। ছবি ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হলেও, শেষ পর্যন্ত দর্শকের মনে জায়গা করে নেয় এই ছবি। চলতি বছরে বাফটা (ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি অফ ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস) ও গোল্ডেন গ্লোবস পুরস্কারের মঞ্চেও ছবিটি যথাক্রমে ৭টি ও ৫টি পুরস্কার জিতেছে।