নিখিল ও নুসরত
নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে অ্যানালমেন্ট অব ম্যারেজের মামলায় জিতে গেলেন তাঁর প্রাক্তন স্বামী নিখিল জৈন। নুসরতের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আগেই তাঁর বিরুদ্ধে আলিপুর আদালতে বিচ্ছেদ চেয়ে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছিলেন নিখিল। কিন্তু আদালতে এক দিনের জন্যেও মুখোমুখি হননি প্রাক্তন দম্পতি।
নুসরতের মা হওয়ার খবর চাউর হওয়ার দিনই আনন্দবাজার ডিজিটালকে নিখিল জানিয়েছিলেন, অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর বহু দিন কোনও যোগাযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘‘অনাগত সন্তানের জনক আমি নই।’’ তিনি জানিয়েছিলেন, নুসরতের সঙ্গে ভবিষ্যতেও কোনও সম্পর্ক তিনি রাখতে চান না। যেহেতু আইনি প্রক্রিয়ায় ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন হয়নি তাই অ্যানালমেন্ট করেই আলাদা হতে হত তাঁদের।
অ্যানালমেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, নুসরতকে আদালতে গিয়ে বলতে হত নিখিলের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক থাকবে না তাঁর। কিন্তু নুসরত সে নিয়ম পালন করেছিলেন কিনা, সে কথা স্পষ্ট নয়।
নিখিল বলেছিলেন, ‘‘‘যে দিন জানলাম, নুসরত আমার সঙ্গে থাকতে চায় না , অন্য কারও সঙ্গে থাকতে চায়, সে দিনই দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছি আমি। নুসরতের মা হওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত নিইনি আমি।’’
অন্য দিকে শোনা গিয়েছে, নুসরত ফের বিয়ে করেছেন যশ দাশগুপ্তকে। তাঁদের সন্তান ঈশানের জন্মের পরেই সে কথা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন নুসরত। ইনস্টাগ্রামে নানাবিধ ছবি দিয়ে যশকে ‘স্বামী’ সম্বোধন করতেও দেখা গিয়েছিল। বিশ্বকর্মা পুজোয় এনা সাহার দফতরে সিঁদুর মাথায় হাজির হয়েছিলেন ঈশান-জননী। সঙ্গী হয়েছিলেন যশ।