বিঘ্নেশ এবং নয়নতারা। ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ের বয়স মোটে দু’বছর। এর মাঝেই সম্পর্ক ভাঙার ইঙ্গিত দিলেন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির নায়িকা নয়নতারা। এমনিতে তিনি প্রথম সারির নায়িকা। তাঁর পারিশ্রমিকও নাকি দক্ষিণী নায়িকাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। অনেকেই তাঁকে দক্ষিণের ‘লেডি সুপারস্টার’ বলে থাকেন। একাধিক সম্পর্কের গুঞ্জনের পর ২০২২ সালে তিনি পরিচালক বিঘ্নেশ শিবনকে বিয়ে করেন। তার পর সারোগেসির মাধ্যমে যমজ ছেলে হয় তাঁদের। সে সময় দেশের সারোগেসি সম্পর্কিত কিছু আইনের জন্য সে সময় আইনি জটিলতা তৈরি হয় নয়নতারাদের জীবনে। কিন্তু সে সব মিটে গিয়েছিল। সব ঠিকই ছিল। গত বছর নয়নতারার বলিউডে হাতেখড়ি হয় শাহরুখ খানের বিপরীতে। ‘জওয়ান’-এর বিপুল সাফল্যে স্বাভাবিক ভাবে সকলে খুশি হলেও শোনা গিয়েছিল, নয়নতারা তাঁর চরিত্র নিয়ে কিঞ্চিৎ মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন। তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে কোনও রকম ছন্দপতনের খবর কখনওই শোনা যায়নি। কিন্তু হঠাৎই সকলকে চমকে দিয়ে তিনি স্বামীকে ইনস্টাগ্রামে ‘আনফোলো’ করে বসলেন।
বিঘ্নেশ দীর্ঘ দিন প্রেম করেছেন অভিনেত্রী নয়নতারার সঙ্গে। তার পর ২০২২ সালের জুন মাসে চার হাত এক হয়। অক্টোবরেই সারোগেসির মাধ্যমে যমজ পুত্রের অভিভাবক হন তাঁরা। একই বছরে এত কিছুর জন্য স্বামীকে বার বার কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অভিনেত্রী। প্রেম দিবসের দিনও স্বামী বিঘ্নেশের প্রতি ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ দেখা যায় নয়নতারার। কিন্তু তার দিন কয়েকের মধ্যেই কী এমন ঘটল তা বুঝতে পারছেন না অনেকেই। অভিনেত্রী হঠাৎই তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখেন, ‘‘সে চলে গেল সারা জীবনের মতো। ও বলল আর আমি অশ্রুভেজা চোখে মেনে নিলাম।’’
অভিনেত্রীর ইনস্টা স্টোরি ঘিরে উদ্বেগে তাঁর অনুরাগীরা। কেউ কেউ আশঙ্কা করেছেন, সত্যিই এটা পোস্ট করেছেন নয়নতারা না কি কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি হল! এখনও পর্যন্ত ধোঁয়াশা তৈরি করে রেখেছেন অভিনেত্রী।