Chrisann Drug Case

মাদক-সহ বিদেশে ধরা পড়েছিলেন অভিনেত্রী! এ বার পাচারের নেপথ্যের অপরাধীকে পাকড়াও পুলিশের

আন্তর্জাতিক স্তরে অভিনয়ের সুযোগ মিলবে। এই টোপ দিয়ে বিদেশে অডিশনে পাঠানো হয়েছিল ক্রিস্যান পেরেইরাকে। মাদক-সহ ধরা পড়ে সেখানেই হাজতবাস হয় অভিনেত্রীর।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:৩৪
Mumbai Crime Branch arrested the man who supplied drug to the bakery owner who allegedly framed Bollywood actress Chrisann Pereira.

প্রতিশোধস্পৃহা থেকে চক্রান্ত, মাদক পাচারে ফেঁসেছিলেন ক্রিস্যান পেরেইরা। ছবি: সংগৃহীত।

মাদক-সহ ধরা পড়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর শারজা বিমানবন্দরে। যে ট্রফি হাতে নিয়ে বিদেশযাত্রা করেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী ক্রিস্যান পেরেইরা, তার মধ্যেই লুকোনো ছিল মাদক। নিজের অজান্তেই তা নিয়ে অডিশন দিতে গিয়েছিলেন মুম্বইয়ের অভিনেত্রী। বিমানবন্দরে তল্লাশির সময়েই ধরা পড়ে যান তিনি। মাদক পাচারকারী ভেবে ২৭ বছরের অভিনেত্রীকে গ্রেফতার করেছিল শারজা পুলিশ। ১ এপ্রিল থেকে ক্রিস্যানের ঠাঁই হয়েছিল জেলে। তদন্তে নেমে জানতে পারা যায়, আসলে ফাঁসানো হয়েছে ‘সড়ক ২’ ছবির অভিনেত্রীকে। চক্রান্তের আঁচ করে প্রকৃত অপরাধীর খোঁজে চলছিল তদন্ত। দিন কয়েক আগে মুম্বই পুলিশের জালে ধরা পড়েন দুই অপরাধী। বাকি এক জন এত দিন পলাতক ছিলেন। এ বার পাকড়াও তৃতীয় অপরাধীও। শান্তিলাল রাজপুত নামক ওই ব্যক্তিই নাকি মাদকের জোগান দিতেন মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অ্যান্থনি পলকে। অ্যান্থনি ও রাজেশ বোবেট ওরফে রবির পর এ বার মুম্বই পুলিশের জালে মাদক সরবরাহকারী শান্তিলাল রাজপুত।

Advertisement

অভিযোগ, অভিনয়ের সুযোগ করে দেওয়ার নাম করে কলাকুশলীদের অডিশনে ডেকে পাঠানো হত এবং তাঁদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হতো মাদক-ভর্তি ট্রফি। এই পদ্ধতিতেই নাকি মাদক পাচারের ছক বজায় রাখত এই চক্র। গ্রেফতার হওয়া অ্যান্থনি পল মালাড এলাকায় একটি বেকারির মালিক। অন্য দিকে, রাজেশ বোবেট ওরফে রবি আবার নাম করা একটি ব্যাঙ্কের সহকারী ম্যানেজার। তদন্ত করে পুলিশ জানতে পেরেছে, হলিউডের এক ওয়েব সিরিজ়ে কাজের সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দেওয়া হয়েছিল ক্রিস্যানকে। তাঁর মা প্রেমিলা পেরেইরাকেও ঠকানোর অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত অ্যান্থনি পলই নাকি প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন প্রেমিলার বিরুদ্ধে। সেই প্রতিশোধস্পৃহা থেকেই নাকি এই ষড়যন্ত্রের অবতারণা। জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পারে, অতিমারির সময় প্রতিবেশী প্রেমিলার সঙ্গে বচসা বেধেছিল অ্যান্থনির বোনের। তা থেকেই নাকি অবনতি হয় দুই প্রতিবেশীর সম্পর্কের। সেই ঝামেলা থেকেই ফাঁসানো হয়েছিল ক্রিস্যানকে।

আরও পড়ুন
Advertisement