RG Kar Protest

‘ছেলেকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে বলুন! তা হলেই নিরাপত্তা বজায় থাকবে’, মিমিকে সমর্থন রাইমার

নারীর সমর্থনে ফের সরব মিমি চক্রবর্তী। তিনি মেয়েদের হয়ে মুখ খুলেছেন। সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “মেয়েকে নয়, ছেলেকে বলুন তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে। তা হলেই নিরাপত্তা বজায় থাকবে।”

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৪ ১৪:১২
Image Of Mimi Chakraborty, Raima Sen

(বাঁ দিকে) মিমি চক্রবর্তী, রাইমা সেন (ডান দিকে) গ্রাফিক্স: সনৎ সিংহ।

আরজি কর-কাণ্ডের পর কর্মস্থলে মহিলাদের নিরাপত্তায় জোর দিতে একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা রাজ্য সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাতের কর্মস্থলে মহিলাদের নিরাপত্তা বিষয়ে মূলত ১০টি এবং অতিরিক্ত সাতটি অর্থাৎ মোট ১৭টি পদক্ষেপের কথা জানান। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, যত দূর সম্ভব মহিলাদের রাতের শিফ্‌ট থেকে অব্যাহতি দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এর পরেই মিমি চক্রবর্তী সমাজমাধ্যমে একটি বার্তা ভাগ করে নিয়েছেন। সেখানে একাধিক বক্তব্যের পাশাপাশি একটি বক্তব্য চর্চায়। প্রাক্তন সাংসদ লিখেছেন, “মেয়েকে নয়, ছেলেকে বলুন তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে। তা হলেই নিরাপত্তা বজায় থাকবে।” মিমির এই বক্তব্য ভাগ করে নিয়েছেন আরও এক অভিনেত্রী রাইমা সেন। এ ভাবেই তিনিও সমর্থন জানিয়েছেন।

Advertisement

বক্তব্যে আর কী লিখেছেন মিমি? তাঁর আর্জি, "'মেয়েটি ধর্ষিতা’র বদলে ‘সে (পুরুষ) তাকে ধর্ষণ করেছে’ বলা হোক। ‘মেয়েকে সামলান’ বলা বা লেখার বদলে ‘ছেলেকে শিক্ষিত করুন"-এই ভাবনায় বিশ্বাসী হওয়ায় ডাক তাঁর। এর পরেই তাঁর চর্চিত বক্তব্য, "মেয়েকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে বলুন, কারণ, রাতে বাইরে থাকা তার জন্য নিরাপদ নয়।" এর বদলে তিনি বলেছেন, "ছেলেকে তাড়াতাড়ি বাড়ি আসতে বলুন, তা হলেই নিরাপত্তা বজায় থাকবে।" সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মিমির এই বার্তা রাইমা ভাগ করে নিয়েছেন ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে, অন্যান্য সমাজমাধ্যমেও।

এর আগেও আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে সমাজমাধ্যমে সরব হয়েছেন মিমি। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখেন, তিনি মৃতাকেই সমর্থন করছেন। আরও জানান, ক্ষমার অযোগ্য এই অপরাধের কড়া শাস্তিও চাইছেন তিনি। তাঁর বার্তা, “আরজি কর-কাণ্ডে অপরাধীর এমন শাস্তি হওয়া উচিত, যাতে ফের এই ধরনের জঘন্য অপরাধের কথা ভাবলেই ভয়ে মেরুদণ্ড কেঁপে ওঠে।” তাঁর মতে, এই নারকীয় ঘটনার জন্য কেউ সন্তানহারা হলেন। কারও স্বপ্ন অকালে ঝরে গেল। কোনও পরিবার অপূরণীয় ক্ষতির মুখোমুখি হল। তার পরেই তিনি মৃতার উদ্দেশে করে লেখেন, “বিষয়টি ক্ষমার অযোগ্য, তোমার পাশে আছি।”

আরও পড়ুন
Advertisement