এক সাক্ষাৎকারে মনোজ জানান, তিনি পরিচালকের সঙ্গে নিয়মিতই যোগাযোগ রাখেন, মাঝেমধ্যেই কথা বলেন। তাঁকে নাকি এখনও গালিগালাজ করেন রামগোপাল। — ফাইল চিত্র।
ওটিটি থেকে বড় পর্দা— সব মাধ্যমেই ভয়ধরানো খলনায়ক তিনি। তবে শুধুই কি এই রূপ তুলে ধরতে চেয়েছিলেন মনোজ বাজপেয়ী? কোথাও জমে আছে আক্ষেপ। ‘সত্য’ ছবিতে তাঁকে প্রথম বড় সুযোগ দিয়েছিলেন পরিচালক রামগোপাল বর্মা। পরিচালকের কাছে তাঁর কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। ‘সত্য’ ছাড়াও ‘কউন’ এবং ‘শূল’-এর মতো ছবিতেও একসঙ্গে কাজ করেছেন রামগোপাল আর মনোজ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মনোজ জানান, তিনি পরিচালকের সঙ্গে নিয়মিতই যোগাযোগ রাখেন, মাঝেমধ্যেই কথা বলেন। তাঁকে নাকি এখনও গালিগালাজ করেন রামগোপাল। ‘সপনে মে মিলতি হ্যায়’ গানটির রিমিক্সে অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মনোজ। এ জন্য পরিচালক তাঁকে ডেকে বকুনি দিয়েছিলেন বলেও জানান। মুম্বই শহরে তাঁর কর্মজীবন নিয়ে অকপট মনোজ। জানালেন, ছবিতে খলনায়ক হওয়ার মনোভাব নিয়ে শহরে আসেননি তিনি।
অভিনেতা বলেন, “মুম্বইয়ে গিয়ে ভিলেন হব, ভাবিনি। ভাল এবং সম্মানজনক চরিত্র চেয়েছিলাম, যেখানে আমার নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ থাকবে।” তেমনটা কমই হয়েছে বলে আক্ষেপ ‘গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর’-এর অভিনেতার। মনোজ বলে চলেন, “দশ বছর আমি দিল্লিতে থিয়েটার করেছি। যখন মুম্বইয়ে আসি, প্রযোজক, পরিচালকদের দরজায় কড়া নেড়েছি। কেউ জানতে চায়নি যে, আমি কী কাজ করেছি, থিয়েটারে কত দিন অভিনয় করেছি।”
তিনি জানান, মঞ্চ হোক বা পর্দা, পরিচালক-প্রযোজকের দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে কোনও তফাত নেই। পকেটে টাকা নেই, পেটে খিদে নিয়ে ঘুমানো অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল মনোজের। তাঁকে কেউ বলেছিলেন, “শহরে যারা প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করছে, তাদের পক্ষে অপমান সহ্য করা মুশকিল।”
যদিও মনোজ হাল ছাড়েননি। তাঁর কথায়, “আগুনের মধ্যে পড়ে থেকে থেকে লোহা হয়ে গিয়েছি। আমি সেই মানুষটাই হয়েছি, যেমনটা সবাই আমাকে দেখতে চেয়েছিল।” মুম্বই শহরে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন, খ্যাতি অর্জন করেছেন মনোজ। ‘গুলমোহর’- এ শেষ বার দেখা গেছে মনোজকে।