মমতার সন্ন্যাস গ্রহণ নিয়ে বিপাকে কিন্নর আখড়ার নেত্রী। ছবি: সংগৃহীত।
মহাকুম্ভে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছেন মমতা কুলকার্নি। কিন্নর আখড়ায় সন্ন্যাস গ্রহণের সমস্ত রীতি পালন করেছেন অভিনেত্রী। গেরুয়া বসন, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা পরে দুধস্নানের পরে তাঁকে ফুলের মালায় সাজিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় অঝোরে কেঁদেছিলেন মমতা। সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছিল সমাজমাধ্যমে। এ বার সেখানেও বিতর্ক।
রূপান্তরকামীদের ধর্মীয় সংস্থা হিসাবে পরিচিত কিন্নর আখড়া। সেই সংস্থার অন্দরেই সমস্যা তৈরি হয়েছে মমতাকে কেন্দ্র করে। মমতাকে নাকি আখড়ার অতি উচ্চ ও সম্মাননীয় পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। এই বিষয়টিই আখড়ার সদস্যেরা মেনে নিতে পারছেন না। এই কিন্নর আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা ঋষি অজয় এই বিতর্কের ভিত্তিতে বিশেষ পদক্ষেপ করতে চলেছেন বলেও জানা গিয়েছে। কিন্নর আখড়া সম্পর্কে মমতার কতটা জ্ঞান রয়েছে সেই বিষয়ে অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হবে, এমনও শোনা গিয়েছে।
কিন্নর আখড়ার নেতৃত্বে রয়েছেন আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠী। শোনা যাচ্ছে, তাঁকে এই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। খুব শীঘ্রই এই পদক্ষেপ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। মমতাকেও মহামণ্ডলেশ্বরের সম্মান দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠী। কিন্তু মমতা কি এই সম্মান পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন? এই প্রশ্ন উঠেছে কিন্নর আখড়ার অন্দরে। অনেকেই আবার অতীতে মমতার পেশা ও মাদকযোগের প্রসঙ্গও তুলেছেন।
সন্ন্যাস গ্রহণের পরে মমতার নতুন নামকরণ হয়েছে— শ্রী মাই মমতা নন্দ গিরি। ‘কর্ণ অর্জুন’, ‘চায়না গেট’, ‘তিরঙ্গা’, ‘আশিক আওয়ারা’, ‘ক্রান্তিবীর’, ‘বাজ়ি’, ‘সবসে বড়া খিলাড়ি’, ‘পুলিশওয়ালা গুন্ডা’র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন মমতা কুলকার্নি। বিতর্কেও জড়িয়েছেন একাধিক বার। কেনিয়ায় মাদকযোগে তাঁর নাম জড়িয়েছিল। অবশেষে ছাড়পত্র পেয়ে ২৫ বছর পরে দেশে ফেরেন তিনি।