২০০৪-এ পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেই সমালোচনার আগুন জ্বালিয়েছিলেন ‘টিনসেল নগরী’-তে। মল্লিকার মোহময়ী উপস্থিতি, শরীরী আবেদনে উত্তাল ছিল বলিউড। তাঁর শরীরী ভাষায় পর্দায় আটকে যেত আমজনতার চোখ। বলিউডের সমালোচকদের চোখে মল্লিকা শেরাওয়াত ছিলেন ‘শরীরসর্বস্ব নায়িকা’।
এ বার শরীর নয়, মুখের ভাষাতেই চমকে দিলেন অভিনেত্রী। সংবাদ সংস্থার কাছে মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্ধকার দিকের কথা প্রসঙ্গে গিয়ে মল্লিকা বলেছেন, ‘‘প্রথম সারির নায়কেরা আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না। কারণ তাঁদের কুপ্রস্তাবে আমি কখনও রাজি হইনি। যে সব নায়িকাদের তাঁরা শাসন করতে পারতেন, তাঁদের ঘনিষ্ঠ হতে রাজি করাতে পারতেন, তাঁরাই ছবিতে সুযোগ পেতেন। আমি এই দলে ছিলাম না। তাই ভাল কাজও পেতাম না।’’
বিষয়টিকে আরও খোলসা করে বলেছেন ‘মার্ডার’-এর নায়িকা, ‘‘মুম্বই ইন্ডাস্ট্রিতে সমঝোতা মানে নায়কের সঙ্গে বসা, শোওয়া— সব কিছুই বোঝায়। যদি প্রথম সারির ছবিতে কাজ করতে চাও, নায়ক যদি বলে রাত তিনটেয় তার বাড়িতে আসতে হবে, নায়িকাকে সে সব করতেই হবে। না হলে সেই ছবি থেকে তুমি বাদ।’’
মধ্য-যৌবনে থাকা মল্লিকাকে সম্প্রতি ‘আরকে/ আরকে’ ছবিতে দেখা গিয়েছে। ‘মার্ডার’ ছবির সাফল্য, জ্যাকি চ্যানের সঙ্গে ছবি ও প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে সাক্ষাতের স্মৃতিই এখন নায়িকার ভাল থাকার রসদ।