লোপামু্দ্রা মিত্র
ছোট থেকেই অন্ধকার দেখেছেন লোপামুদ্রা মিত্র। তারই মাঝে ধীরে ধীরে নিজের নাম, পরিচয় তৈরি করেছেন তিনি। লোপামুদ্রা শনিবারের আনন্দবাজার অনলাইনের আড্ডায় নিজের ছোটবেলার কথা বললেন অকপটে।
লোপামুদ্রা মানেই স্পষ্টবক্তা। ফেসবুকে হোক বা প্রকাশ্যে, লোপামুদ্রা কখনওই নিজের মতামত প্রকাশে পিছ পা হননি। কারও মন রাখার দায় তাঁর নেই। তাঁর এই আচরণের কারণ কী?
লোপামুদ্রার কথায় জানা গেল, ছয় বছর বয়স থেকেই নিজের বাবার মানসিক রোগের সাক্ষী তিনি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ায় চাকরি করতেন লোপামুদ্রার বাবা। তা ছাড়া একান্নবর্তী পরিবারে বড় হওয়ায় লোপামুদ্রাকে আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়নি বটে কিন্তু বিভিন্ন সমস্যাকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। লোপামুদ্রার কথায়, ‘‘বাবার সমস্যাগুলি বাইরের মানুষ বুঝতেন না। বাড়ির সবাই সেটা বুঝতাম কেবল। ছোটবেলা থেকে সেই সব ঘটনার ছাপ আমার জীবনে পড়েছে। সেটা এখন বুঝতে পারি আমি।’’
সেই বাবাই আত্মঘাতী হয়েছেন। নিজের জীবনের কঠিনতম সত্যকেও সকলের সামনে বলতে দ্বিধা করেননি লোপামুদ্রা। বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার পরে লোপামুদ্রা বুঝে গিয়েছেন, ‘একটাই জীবন’। তাতে অন্য কারও ভাল খারাপের কথা ভেবে বা মতামত লুকিয়ে রেখে সময় নষ্ট করতে চান না গায়িকা। জীবন যাপনে কোনও ফাঁক রেখে আফশোস করার মানুষ তিনি নন। লোপামুদ্রার কথায়, ‘‘আমি যেমন, আমাকে তেমন ভাবে নিতে পারলে নাও, না হলে ছেড়ে দাও।’’