রাঘবের আগে কার কার প্রেমে পড়েছেন পরিণীতি? গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
বলিউডের নামজাদা অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া। মুম্বইয়ের বিনোদন জগতে কপূর, ভট্টদের ভিড় পাশ কাটিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন পরিণীতি। সেই শিক্ষা অবশ্য পেয়েছেন তুতো দিদি প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার থেকেই। তবে বিনোদন জগতে পরিণীতির পা রাখা বেশ কিছুটা অপ্রত্যাশিতই বলা যায়। মাত্র ১৭ বছর বয়সে উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ম্যাঞ্চেস্টার বিজ়নেস স্কুলে ‘ট্রিপল অনার্স’ অর্জন করেন। ইংল্যান্ডে লেখাপড়া করাকালীনই রাঘব চড্ডার সঙ্গে পরিচয় পরিণীতির। তখন লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকসে লেখাপড়া করতেন রাঘব। সেই সময়ের বন্ধুত্বই বছর খানেক আগে গড়ায় প্রেমে। ইমতিয়াজ় আলি পরিচালিত ‘চমকিলা’ ছবিতে অভিনয় করেছেন পরিণীতি। পঞ্জাবে ওই ছবির শুটিংয়ের সময় ছবির সেটে একাধিক বার গিয়েছিলেন রাঘব। সেখানেই প্রেম রাঘব ও পরিণীতির। প্রেমের বছর খানেকের মধ্যে গাঁটছড়া বাঁধছেন যুগল। রাঘবের সঙ্গে ‘ব্রেকফাস্ট ডেট’-এ গিয়েই নাকি পরিণীতি উপলব্ধি করেছিলেন যে, তিনি তাঁর মনের মানুষকে খুঁজে পেয়েছেন। তবে কি এর আগে প্রেমে পড়েননি অভিনেত্রী? মোটেই না! অভিনেতা থেকে পরিচালক, এমনকি সহকারী পরিচালকের সঙ্গেও চুটিয়ে প্রেম করেছেন নায়িকা।
অর্জুন কপূর
অর্জুন কপূরের সঙ্গেই বলিউডে নায়িকা হিসাবে হাতেখড়ি পরিণীতির। ২০১২ সালে যশরাজ ফিল্মসের ‘ইশকজ়াদে’ ছবিতে জুটি বেঁধে কাজ করেছিলেন অর্জুন ও পরিণীতি। সেই সময় কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল, ক্যামেরার সামনে তো বটেই— ক্যামেরার নেপথ্যেও নাকি একে অপরের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন দুই অভিনেতা। তবে সেই জল্পনায় কখনও সিলমোহর দেননি পরিণীত বা অর্জুন কেউই। এখন অবশ্য ভীষণ ভাল বন্ধু তাঁরা দু’জনে। এমনকি, সমাজমাধ্যমের পাতায় একে অপরের তারিফ থেকে ট্রোলিং— কোনও কিছুই বাদ রাখেন না তাঁরা।
আদিত্য রায় কপূর
২০১৪ সালে ‘দাওয়ত-এ-ইশ্ক’ ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন আদিত্য রায় কপূর ও পরিণীতি। ছবি বক্স অফিসে একেবারেই দাগ কাটতে পারেনি, তবে একে অপরের মনে নাকি জায়গা করে নিয়েছিলেন আদিত্য ও পরিণীতি। এমনকি, আদিত্যর কথাতেই নাকি শরীরচর্চায় বেশি করে মন দিয়েছিলেন নায়িকা। এখন অবশ্য অনন্যা পাণ্ডেতে মজেছেন আদিত্য।
মণীশ শর্মা
২০১১ সালে ‘লেডিজ় ভার্সেস রিকি বহেল’ ছবিতে একটি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন পরিণীতি। ওই ছবির পরিচালক ছিলেন মণীশ শর্মা। শোনা যায়, ওই ছবিতে কাজ করার সময় থেকেই নাকি প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল মণীশ ও পরিণীতির মধ্যে। পরে ২০১৩ সালে মণীশ পরিচালিত ‘শুদ্ধ দেশি রোম্যান্স’ ছবিতেও কাজ করেছিলেন পরিণীতি। সেই সময় একাধিক বার মণীশ ও পরিণীতিকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল বলিপাড়ার একাধিক পার্টিতে। যদিও নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কখনও জনসমক্ষে মুখ খোলেননি তাঁদের কেউই।
সুশান্ত সিংহ রাজপুত
২০১৩ সালে মণীশের ‘শুদ্ধ দেশি রোম্যান্স’ ছবিতে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন পরিণীতি। কানাঘুষো শোনা যায়, সেই সময়েই সুশান্তের প্রেমে পড়েন পরিণীতি। যদিও নিজেদের সম্পর্ককে কখনও বন্ধুত্ব ছাড়া অন্য কোনও সংজ্ঞা দেননি সুশান্ত বা পরিণীতি, কেউই। ২০২০ সালে সুশান্তের মৃত্যুর পরে অভিনেতাকে নিয়ে একাধিক বার সমাজমাধ্যমের পাতায় স্মৃতিচারণ করেছিলেন পরিণীতি।
উদয় চোপড়া
যশরাজ ফিল্মসের হাত ধরে বলিউডে আত্মপ্রকাশ পরিণীতির। সেই সূত্রে উদয় চোপড়ার সঙ্গে অভিনেত্রীর পরিচয় বহু দিনের। শোনা যায়, দু’জনের সেই বন্ধুত্বই গড়িয়েছিল প্রেমে। একাধিক বার একসঙ্গে জনসমক্ষে ধরা দিলেও কখনও নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি পরিণীতি বা উদয় কেউই।
চরিত দেশাই
সহকারী পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার হিসাবে বলিউডের অন্যতম পরিচিত মুখ চরিত দেশাই। ‘তিন পত্তি’, ‘আয়শা’, ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’, ‘কি অ্যান্ড কা’, ‘কপূর অ্যান্ড সন্স’-এর মতো ছবির সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন চরিত। চরিতের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরে নাকি চুটিয়ে প্রেম করেছেন পরিণীতি। এমনকি, প্রিয়ঙ্কা ও নিকের বিয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
ভাবা হয়েছিল, শেষমেশ চরিতের সঙ্গেই সাত পাক ঘুরবেন পরিণীতি। তবে তা হয়নি। চরিতের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেই রাঘবের প্রেমে পড়েন পরিণীতি। আম আদমি পার্টি তথা আপ সাংসদের সঙ্গেই অবশেষে ছাঁদনাতলায় বলিউড অভিনেত্রী।