বাংলাদেশের জনপ্রিয় এবং আলোচিত নায়িকা পরীমণি।
এই শ্যুটিং। এই আদালত। অদ্ভুত জীবন কাটাচ্ছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় এবং আলোচিত নায়িকা পরীমণি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তার পর জামিন নিয়ে নানা কাণ্ড। অবশেষে জামিনে মুক্তি। ছবির কাজে ফেরা। এ বার আদালতে পরীমণি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রাষ্ট্রপক্ষের আনা মামলায় পরীমণি-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। পরীমণি এবং অন্য দুই অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলাম, কবির হোসেন এই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নিজেদের নির্দোষ দাবি করে তিন জনই আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান। মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন অবশ্য নাকচ হয়। ঢাকার ১০ নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ১ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য করেছেন।
গত বছর ৪ আগস্ট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমণিকে গ্রেফতারের পর ৪ অক্টোবর আদালতে পরীমণি-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অভিযোগপত্রে ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়।
কী অভিযোগ? জানা গিয়েছে, অভিযোগপত্রে আছে- পরীমণির বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনও নথিপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর লিখিত ভাবে সিআইডিকে জানিয়েছে, ২০১৯-২০২০ আর্থিক বছরে পরীমণির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে গত বছরের ৩০ জুন। মামলার বাকি আগে অভিযুক্ত আশরাফুল ও কবিরের মাধ্যমে পরীমণি অবৈধ মাদক সংগ্রহ করে বাড়িতে মজুত রেখেছিলেন। এ বিষয়ে তিনি কোনও সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমণির গাড়িটিও মাদকদ্রব্য বহনে ব্যবহৃত হত।
পরীমণির পক্ষের অনেকেই অবশ্য মনে করছেন, এই সব অভিযোগ মিথ্যা। তাঁদের মতে- ঢাকা ক্লাব কাণ্ডে প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরীমণি ধর্ষণের চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগ আনায় তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অভিযোগ, আগের গুরুতর মামলার অগ্রগতি হচ্ছে না, অথচ পরে আনা অনেকাংশেই লঘু মামলায় পরীমণিকে বিচারের নামে হেনস্থা করা হচ্ছে।
পরীমণি অবশ্য মামলার বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। জামিনে মুক্তির পর চলচ্চিত্রের কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন তিনি। সামনেই বহু-আলোচিত 'প্রীতিলতা' ছবির বাকি অংশের শুটিং। সেই সঙ্গে জানুয়ারিতেই মুক্তি পাচ্ছে মোশারফ করিম, পরীমণি অভিনীত সিনেমা 'মুখোশ'।