শহরের ভিড় থেকে দূরে নিরিবিলিতে কেরালায় পাড়ি দিলেন অভিষেকের পরিবার। ছবি: সংগৃহীত
আলোর রোশনাই, ঢাকের বাদ্যি— কলকাতা রাস্তায় পা দেওয়া এখন বড়ই মুশকিল। মা এসেছে যে। চারিদিকে আলো, কিন্তু দক্ষিণ কলকাতার চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে শুধুই মন খারাপের রেশ। মা এল না, প্রদীপও জ্বলল না। কী করে হবে? বাড়ির কর্তাই যে নেই। মার্চ মাসে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে আচমকাই মৃত্যু হয় অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। তাই মেয়ে ডলকে নিয়ে শহর থেকে দূরে অভিষেকের স্ত্রী সংযুক্তা।
অভিষেকের অকাল মৃত্যুর শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি পরিবার। সপ্তমীর সকালে সেই ছবিই আবারও উঠে এল। মেঘের দেশে তাকিয়ে অভিষেকের বছর ১০-এর মেয়ে ডল। বাবা না থেকেও যেন আছে তার সঙ্গে সব সময়। সে কথাই শহর ছাড়ার সময় বার বার মনে করল অভিষেকের মেয়ে। লিখলেন, “আমিও মা বাবার সঙ্গে আমার মতো করে পুজো কাটাব। তোমরাও আনন্দ করো।”
প্রতি বছর ধুমধাম করে পুজো হত তাদের বাড়ি । এই বছরটা একটু আলাদা। নিরিবিলিতেই মা-মেয়ে কাটাবেন দুর্গাপুজোর ক’টা দিন। আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিষেকের স্ত্রী সংযুক্তা আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছিলেন, “না, এ বারে আর বাড়িতে পুজোটা করতে পারব না। অনেকে বলছেন, পুজো করলে অভির ভাল লাগবে, কিন্তু আমি এ বারটা পারব না। শহর থেকে বহু দূরে কোথাও চলে যেতে চাই, যেখানে কোনও ঢাকের আওয়াজ কানে আসবে না। কোনও হুল্লোড় থাকবে না। পুজোটাকে ভুলে থাকতে চাই।” সেই কথা মতো সপ্তমীর সকালে কেরল উড়ে গেলেন মা-মেয়ে।