lata mangeshkar

Lata Mangeshkar Death: ‘তু জঁহা জঁহা... মেরা সায়া সাথ হোগা’, মদনমোহনের সুরে লতার সেই আশ্বাস অমর

এই ব্যথা, এই বিরহই শিল্পীর শেষযাত্রার পাথেয়, ভাগ্যিস মদন মোহন জুটি বেঁধেছিলেন লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে!

Advertisement
শুভজিৎ রায়
শুভজিৎ রায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:৩৪
লতাকে নিয়ে লিখলেন শুভজিৎ রায়

লতাকে নিয়ে লিখলেন শুভজিৎ রায়

লতা মঙ্গেশকর। সবার মনে তাঁর স্থান। তাঁর মনে? শুধুই গান! যেন সঙ্গীত মন্দিরের দেবদাসী তিনি। সঙ্গীতের পূজারিদের কাছে জীবন্ত দেবী সরস্বতী। যাঁর শাশ্বত কণ্ঠের পবিত্রতায় মন মিশে যায় মনে, ধর্ম মিশে যায় ধর্মে, আত্মা মিশে যায় আত্মায়। ভারতবর্ষের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতিমূর্তি তিনি। মানুষ যখন দিশাহারা, মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত, তখন আঁকড়ে ধরে লতা মঙ্গেশকরকে। তিনিই তখন সবার মনের আরাম। আত্মার শান্তি।

সেই কিন্নরকণ্ঠী অনন্ত যাত্রায়। তাঁর সেই যাত্রাপথের যোগ্য সারথি মদনমোহন কোহলির গান। যে গানের সুরে পরতে পরতে জড়িয়ে বিষাদের সুর। মদনমোহন তাঁর গানের শরীরে জড়িয়ে দিয়েছিলেন ব্যথার মাধুরী। সেই গান কণ্ঠে ধারণ করেছিলেন লতাজি। সেই গান তাই আজও সঙ্গীতপ্রেমী মানুষের কাছে মণিমুক্তোর মতোই বহুমূল্য। লতা-মদনমোহনের অমর জুটি শ্রোতাদের উপহার দিয়েছিল এ রকমই অজস্র গান। তালিকায় আছে গজল, রাগাশ্রয়ী আর সুরেলা গান। যেমন, ১৯৬২-র ‘অনপড়’ ছবির "আপ কি নজর নে সমঝা প্যায়ার কে কাবিল মুঝে" গানটি। মালা সিনহার ঠোঁটে এই গান মদনমোহনের অমর সৃষ্টি।

Advertisement

লতাজির গাওয়া সেই গান শুনে স্বয়ং নৌসাদ সাহেব বলেছিলেন, তিনি তাঁর সব গান দিয়ে দিতে রাজি। বদলে এই গানটি তাঁর চাই! ১৯৬৬-তে মুক্তি পেয়েছিল সুনীল দত্ত আর সাধনা অভিনীত ‘মেরা সায়া’। ... সেই ছবিতে মদনমোহন-লতা জুটির উপহার চিরস্মরণীয় গান, ‘তু জহাঁ জহাঁ চলেগা, মেরা সায়া সাথ হোগা’। সেই গান আজ ৪জি/ ৫জি ভারতের বহু মোবাইলের রিং টোন! দেশের প্রায় প্রতিটি এফএম স্টেশনে আজও যখন তখন বেজে ওঠে ১৯৭৫-এ মুক্তি পাওয়া ‘মৌসম’ ছবির গান ‘দিল ঢুঁনঢতা হ্যায় ফির ওহি’। গুলজারের লেখা গানে সুর দিয়েছিলেন মদনমোহন। এই গানে লতাজির সঙ্গী ছিলেন ভূপিন্দর সিংহ। অভিনয় করেছিলেন সঞ্জীব কুমার-শর্মিলা ঠাকুর। যে গান শুনে ও. পি. নায়ার ধন্দে পড়ে গিয়ে বলেছিলেন, ‘‘কার প্রশংসা করব! মদনমোহন না লতার? দু’জনেই তাঁর সেরাটা দিয়েছেন। ফলে, এই গান কার সার্থক সৃষ্টি বলা বড় মুশকিল।’’

তালিকায় আরও আছে। ‘নয়না বরসে রিমঝিম রিমঝিম’(ওহ কৌন থি, ১৯৬৪) বা ভীমপলশ্রী রাগে রচিত ‘নয়নো মে বদরা ছায়ে’ কিংবা কইফি আজমির লেখা ‘তেরি সাথ মেরি ওয়াফা’ (হিন্দুস্তান কি কসম, ১৯৭৩)-র মতো গানগুলো কোনও দিন পুরনো হবে না। এই ব্যথা, এই বিরহই শিল্পীর শেষযাত্রার পাথেয়। ভাগ্যিস মদনমোহন জুটি বেঁধেছিলেন লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে! তাই তো তাঁদের উপহার রেখে যাওয়া সেই আশ্বাসেই আশ্রয় খুঁজছে কিন্নরকণ্ঠীর জন্মভূমির প্রতিটি মানুষ...

.... তু জঁহা জহাঁ চলেগা...মেরা সায়া সাথ হোগা

আরও পড়ুন
Advertisement