Kumar Sanu

নায়কই ঠিক করে দিচ্ছেন তাঁর লিপে কে গাইবেন! সিনেমার গানের মান পড়ছে, দাবি কুমার শানুর

ছবি তৈরির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে যে, ভাল গান ছবিতে রাখার দরকারও নির্মাতারা অনুভব করেন না। মত কুমার শানুর।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
মুম্বই শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৩ ১৫:০০
Kumar Sanu says actors now decide who will sing songs

গানবাজনার হালচাল নিয়ে কী ধারণা শানুর? ছবি: সংগৃহীত।

নব্বইয়ের দশকে বলিউডে একের পর এক জনপ্রিয় গান গেয়েছেন কুমার শানু। ঋষি কপূর থেকে শুরু করে শাহরুখ-সলমন, বিখ্যাত সব নায়কের জন্য কণ্ঠ দিয়েছেন গায়ক।

বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাওয়ার বিষয়ে নানা আক্ষেপ দেখা দিচ্ছে কণ্ঠশিল্পী থেকে শুরু করে নেপথ্যশিল্পী ও সুরকারদের। বেশির ভাগেরই অভিযোগ, পাকা কথা হয়ে যাওয়ার পর সিনেমার গানের চুক্তি থেকে বাদ পড়ছেন তাঁরা। কোনও কারণ ব্যাখ্যা না করেই তাঁদের শেষ মুহূর্তে ‘না’ করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান।

Advertisement

সেই আবহে গানবাজনার হালচাল নিয়ে কী ধারণা শানুর? এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, অভিনেতারা এখন নেপথ্যগায়নের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেন। তাঁরাই ঠিক করে দেন কে গাইবেন তাঁদের জন্য। এতে হয়তো সঠিক বিচার হচ্ছে না, দাবি শানুর।

আশির দশকের শেষ থেকে বলিউডে জয়যাত্রা শুরু কুমার শানুর। নব্বইয়ের দশক জুড়ে অজস্র জনপ্রিয় গান তাঁর কাছ থেকে পেয়েছে বলিউড। ২০১৫ সালে আয়ুষ্মান খুরানা ও ভূমি পেডনেকর অভিনীত ‘দম লগাকে হাইসা’ ছবিতে গান গেয়ে বলিউডে প্রত্যাবর্তন হয় তাঁর।

ইন্ডাস্ট্রির সাম্প্রতিক হাল-হকিকত নিয়ে অকপট গায়ক জানান, ভাল গায়কের অভাব নেই বলিউডে। কমতি ভাল লেখা, সুর এবং সেই মানের নায়কের। এগুলি ঠিক করা দরকার বলেই মত গায়কের। তাঁর কথায়, “আমাদের প্রজন্ম ভাগ্যবান ছিল, আমরা এ সবের ঊর্ধ্বে ছিলাম। আমাদের সঙ্গীত পরিচালকেরা যদি পাশ্চাত্য ঘরানার দিকে বেশি মনোনিবেশ না করে ভারতীয় গানবাজনার সংস্কৃতিতে মন দেন, তা হলে ভাল হবে। দক্ষ লোক ছাড়া আর কারও হাতেই ক্ষমতা থাকা উচিত নয়।”

এর পরই শানু বলেন, “এমনকি, অভিনেতারাই এখন ঠিক করে দেন, কোন শিল্পী তাঁর জন্য গাইবেন। এই ধরনের হস্তক্ষেপ থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে।”

তাঁর বক্তব্য, ছবিতে গানবাজনার ব্যাপারটা এখন গৌণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু শৈল্পিক মান বজায় রাখতে এটাকেই তো অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত কিছু ক্ষেত্রে!

শানু আরও জানান, ছবি তৈরির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে যে, ভাল গান ছবিতে রাখার দরকারটুকুও নির্মাতারা অনুভব করেন না। এই সমস্যার জন্যও ইন্ডাস্ট্রিকে ভুগতে হচ্ছে।

কেদার ভট্টাচার্য থেকে শানু ভট্টাচার্য হয়ে তিনি শেষমেশ হয়ে উঠেছিলেন কুমার শানু। সঙ্গীত পরিচালক কল্যাণজি-আনন্দজির পরামর্শে এই নাম পরিবর্তন করেন বাঙালি গায়ক। বলিউডে ১৯৮৮ সালে ‘হিরো হীরালাল’ ছবিতে গান গেয়ে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে। ‘আশিকি’, ‘বাজ়িগর’, ‘দিওয়ানা’, ‘সাজন’-এর পর বিপুল জনপ্রিয়তা পান। বলিউডে প্রথম সারির গায়ক হয়ে ওঠেন শানু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement