Singer KK Death

Rupankar Bagchi: ‘ধড়ফড়িয়ে বুকটা পোড়ে, বরটা বড়ই বোকা!’ এ বার কেকে-বিতর্ক নিয়ে সরব রূপঙ্কর-পত্নী চৈতালী

সাংবাদিক বৈঠকে বিবৃতি পাঠ করে রূপঙ্কর ‘কেকে-বিতর্ক’ নিয়ে নিজের মত ব্যাখ্যা করেন। শনিবার সকালে তাঁর স্ত্রী ফেসবুকে একটি কবিতা পোস্ট করলেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২২ ০৮:৫৮
রূপঙ্করের স্ত্রীর লেখা সেই কবিতা।

রূপঙ্করের স্ত্রীর লেখা সেই কবিতা। ফাইল চিত্র।

কবিতা লিখলেন গায়ক রূপঙ্করের স্ত্রী চৈতালী লাহিড়ি। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে বিবৃতি পাঠ করে রূপঙ্কর ‘কেকে বিতর্ক’ নিয়ে নিজের মত ব্যাখ্যা করেন। শনিবার সকালে তাঁর স্ত্রী ফেসবুকে কবিতা পোস্ট করলেন।

সেই কবিতার ছত্রে ছত্রে গায়ক কেকে-র মৃত্যু পরবর্তী পর্যায়ে তাঁদের বদলে যাওয়া জীবনের কথা উঠে এসেছে। চৈতালী লিখলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া তোমার দেওয়া আ্যড্রিনালিন রাশ, / ছোট্ট পরিবারের জীবনে নামিয়ে এনেছে ত্রাস।/ দরকার একটা স্মার্টফোন আর মনে একরাশ ঘৃণা,/ জীবনের যত না পাওয়ার যন্ত্রণা আর কিছু বাহানা।/ তারপর একটা লম্বা ট্রিপ এমন নেশা কোনো/ মাদকেই হয় না, / উত্তেজনা উত্তেজনা—উফফ দাদা জীবনে কী পাবো না ভুলেছি সে ভাবনা।’

Advertisement

কবিতা বলছে বাগচি-দম্পতির যন্ত্রণার কথা। নিয়তই কেমন করে সঙ্গীত জীবনে নজিরবিহীন বিভীষিকার সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা। মারমুখী জনতার আক্রোশ, ঘৃণায় রূপঙ্করের কিশোরী কন্যা কতটা মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে—এ সবই উঠে এসেছে। তার চোখে জল। চৈতালী সেখানে মা হিসেবে অসহায়। মেয়েকে বোঝাতে পারছেন না এই ক্ষত সাময়িক। মানসিক নিপীড়নের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে চৈতালী লিখছেন তাঁর মনের কথা, ‘ধড়ফড়িয়ে বুকটা পোড়ে, বরটা বড়ই বোকা/দুনিয়াদারিতে নেহাৎ কাঁচা শিল্প যাপনে মগ্ন থাকা।/এমন কথা কি বলতে হয়, তুমি কি সমাজের হোতা?/ কে দিয়েছে মাথার দিব্যি? কেন নড়ল মাথার পোকা?’

কেকে-কে নিয়ে রূপঙ্করের মন্তব্যের পর এই প্রথম ব্যাখ্যা দিলেন তাঁর স্ত্রী। তিনি মানছেন, তাঁর স্বামী ‘বোকা’র মতো কথা বলেছেন। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট, এই ‘বোকামি’ই রূপঙ্করকে নিজের জন্য না ভেবে অন্যের জন্য ভাবতে শিখিয়েছে। চৈতালি তাঁর লেখার মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছেন, ফোনে মৃত্যুর হুমকি, অশ্লীল মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে একাকার তাঁদের দিন-রাত।তিনি প্রশ্ন তুলেছেন ‘মা’, ‘বোন’ তো সকলের ঘরেই আছে। যাঁরা তাঁকে এমন কুরুচিকর কথা শোনাচ্ছেন, তাঁরা কি এক বারও তাঁদের মানসিক অবস্থার কথা ভাবছেন না?অন্য দিকে, শিল্পীজগৎ নিয়ে ক্ষোভ চৈতালির লেখায়। তিনি লিখেছেন, ‘ভালোই হল চিনতে পেল বন্ধু এবং বাসা/ সময় চেনায় কোনটা সত্যি আর কোনটা মরীচিকা।’এই বেপরোয়া ঝড়ের দিনে চৈতলি তাঁর লেখায় জানিয়ে দিচ্ছেন এক দিকে ‘স্ত্রী’ হয়ে, অন্য দিকে ‘যশোদা মা’ হয়ে তিনি এই যুদ্ধে লড়াই করবেন। তাঁকে কোনও কিছুতেই কাবু করা যাবে না।

আরও পড়ুন
Advertisement