Kartik Aaryan

দু’হাতে রোজগার বলিউডের ‘শেহজ়াদা’র, তার পরেও হাতখরচের জন্য কার কাছে হাত পাতেন কার্তিক?

কোনও ফিল্মি পরিবারের সদস্য নন। বলিউডে পা রেখেছিলেন ‘বহিরাগত’ হিসাবে। পরিশ্রম ও মেধার জোরে কয়েক বছরেই বলিপাড়ার ‘শেহজ়াদা’ হয়ে উঠেছেন কার্তিক আরিয়ান।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:৩৫
Kartik Aaryan.

কার্তিক আরিয়ান। ছবি: সংগৃহীত।

বলিউডের এই প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা তিনি। যে যুগে নায়ক বা নায়িকা নন, ‘তারকা’ আদপে ছবি বা সিরিজ়ের গল্প ও চিত্রনাট্য— সেই যুগে দাঁড়িয়ে ‘তারকা’ তকমা অর্জন করেছেন কার্তিক আরিয়ান। লভ রঞ্জনের ‘প্যার কা পঞ্চনামা’ ছবির মাধ্যমে দর্শকের নজরে আসেন কার্তিক। সেই ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির একাধিক ছবিতে অভিনয় করার পরে ‘সোনু কে টিটু কি সুইটি’, ‘লভ আজ কাল’, ‘লুকা চুপি’, ‘ভুল ভুলাইয়া ২’, ‘শেহজ়াদা’র মতো ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। ‘ভুল ভুলাইয়া ২’ ছবির বক্স অফিস সাফল্যের পর ‘তারকা’ তকমা অর্জন করেন কার্তিক। জনপ্রিয়তা তো বটেই, সঙ্গে আসে আর্থিক সাফল্যও। তবে গত বছর কার্তিকের প্রথম ছবি ‘শেহজ়াদা’ মুখ থুবড়ে পড়েছিল বক্স অফিসে। তার পরে ‘সত্যপ্রেম কি কথা’ ছবির মাধ্যমে কিছুটা উঠে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা। তবে এখনও নাকি হাতখরচের জন্য মায়ের কাছে হাত পাততে হয় কার্তিককে!

Advertisement

এক সাক্ষাৎকারে কার্তিক জানান, বলিউডে সাফল্য পাওয়ার পরেও তাঁর মা তাঁকে হাতখরচের টাকা দেন! কিন্তু কেন? এক সাক্ষাৎকারে কার্তিককে প্রশ্ন করা হয়, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে। কার্তিক জানান, তিনি জানেনই না তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকার অঙ্কটা ঠিক কত! ওই একই সাক্ষাৎকারে কার্তিক জানান, টাকাপয়সার হিসাব রাখার ক্ষেত্রে তিনি তেমন পোক্ত নন। তাই তাঁর মা মালা তিওয়ারি এখনও তাঁর টাকাপয়সা সামলান। শুধু তাই-ই নয়, মায়ের কাছ থেকেই নাকি এখনও প্রতি মাসে হাতখরচের টাকা পান কার্তিক!

বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও নাকি এখনও পর্যন্ত কোনও কিছু কেনার আগে মায়ের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয় কার্তিককে। কার্তিক জানান, এক বার নিজের জন্মদিনে নাকি গাড়ি কেনার বায়না করেছিলেন তিনি। তাঁর মা ছেলের আবদারে সায় দেননি। কার্তিক জানান, তাঁর মা তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘এখন গাড়ি কেনা যাবে না। অত টাকা নেই। পরের বছর জন্মদিনে বা অন্য কোনও সময়ে কিনো।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement