করিনা কপূর খান ও সইফ আলি খান। ছবি-সংগৃহীত।
১২ বছর হয়ে গিয়েছে করিনা কপূর খান ও সইফ আলি খানের বিয়ের। বলিউডে এই মুহূর্তে তাঁরা ‘পাওয়ার কাপল’। তবে বিয়ের বেশ কিছুটা আগেই শুরু হয়েছিল তাঁদের প্রেমকাহিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে করিনা জানিয়েছেন, সইফের কোন বিষয় তাঁকে প্রথম আকর্ষণ করেছিল।
২০০৪-এ অভিনেত্রী অমৃতা সিংহের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় সইফের। তার পরের বছর অর্থাৎ ২০০৫-এ করিনার সঙ্গে প্রথম ফোটোশুট করেন সইফ। সাক্ষাৎকারে করিনা বলেন, “ওঁর (সইফ) সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার পরেই মনে হয়েছিল, এত সুদর্শন পুরুষ আমি আগে দেখিনি। ওঁর চোখের মধ্যে অদ্ভুত এক ঝলক ছিল। খুব হাসিখুশিও লেগেছিল ওঁকে দেখে। সবচেয়ে বড় কথা, ওঁর চোখ দু’টো দেখে ওঁকে খুব দয়ালু মনে হয়েছিল। মহিলারা এই বিষয়টিই সবচেয়ে পছন্দ করেন। ওঁর মধ্যে কোনও ভণিতা দেখিনি। এটাই আমার প্রথম সাক্ষাতে খুব ভাল লেগেছিল।”
‘টশন’, ‘ওমকারা’, ‘কুরবান’-এর মতো ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন করিনা ও সইফ। ২০১২ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন তারকা জুটি। তবে এখনও প্রতিনিয়ত সইফকে নাকি নতুন ভাবে আবিষ্কার করেন করিনা।
করিনা অন্য একটি সাক্ষাৎকারে সইফ সম্পর্কে বলেছিলেন, “মানুষ তখনই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়, যখন তারা সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা ভাবে। না হলে তো একসঙ্গে থাকলেই হয়! বিয়ের আগে আমি আর সইফ পাঁচ বছর একত্রবাসে ছিলাম। এর পর আমরা যখন সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা ভাবি, তখন বিয়ে করি।”
উল্লেখ্য, সইফ ও করিনা দুই পুত্র সন্তান তৈমুর ও জেহ্-র মা-বাবা। প্রায়ই ‘সুখী’ সংসারের নানা মুহূর্তে সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেন করিনা।