কলেজের অধ্যক্ষার কোন কথা মিলে গিয়েছে অক্ষরে অক্ষরে? জানালেন ‘কুইন’। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের জনপ্রিয় ও নামজাদা অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম কঙ্গনা রানাউত। গতে বাঁধা বলিউড ছবি থেকে বেরিয়ে অন্য ঘরানার ছবিতে কাজ করে নিজেকে বলিউডে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন কঙ্গনা। নিজগুণে একাধিক অভিনেতার চেয়েও বেশি উপার্জন করেন তিনি। বলিউডের প্রথম সারির তারকাদের মধ্যে নাম থাকে তাঁর। কঙ্গনার এই উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আঁচ নাকি আগেই পেয়েছিলেন তাঁর কলেজের অধ্যক্ষা। তাঁর করা ভবিষ্যদ্বাণী নাকি অক্ষরে অক্ষরে মিলে গিয়েছে কঙ্গনার শিল্পীজীবনে। এ কথা নিজেই জানালেন বলিউড অভিনেত্রী।
হিমাচল প্রদেশের মেয়ে কঙ্গনা। বড় হয়ে চণ্ডীগড়ের ডিএভি কলেজে লেখাপড়া করতে এসেছিলেন তিনি। সেই সময় কলেজের অধ্যক্ষের পদে ছিলেন মিসেস সচদেবা। কঙ্গনাকে দেখে তিনিই নাকি আঁচ করতে পেরেছিলেন যে, ভবিষ্যতে বড় তারকা হয়ে উঠবেন তিনি। সমাজমাধ্যমের পাতায় নিজের কলেজ জীবনের একাধিক ছবি শেয়ার করেন কঙ্গনা। তিনি লেখেন, ‘‘ডিএভি কলেজে হস্টেলের প্রথম দিন, আমার পোশাকের জন্য আমাকে ডেকেছিলেন অধ্যক্ষা মিসেস সচদেবা। আমাকে ডেকে উনি জিজ্ঞাসা করেন, আমি কোথা থেকে এসেছি। আমি উত্তর দিই, আমি হিমাচলের মেয়ে। তার পর উনি জিজ্ঞাসা করেন, আমার পোশাক কোথা থেকে কিনেছি। আমি বলি, এটা আমার ডিজ়াইন করা, আর আমাদের গ্রামের দর্জি সেলাই করে দিয়েছেন।’’ তার পরেই নাকি কঙ্গনাকে কাছে টেনে উনি বলেছিলেন, এক দিন দেশের অনেক বড় তারকা হয়ে উঠবেন তিনি।
কলেজের অধ্যক্ষা মিসেস সচদেবার সঙ্গে একাধিক ছবি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেন কঙ্গনা। কঙ্গনা মুম্বইয়ে এসে ছবিতে অভিনয় করা শুরু করার পরে নাকি তাঁর সঙ্গে দেখা করতেও এসেছিলেন অধ্যক্ষা। সেই ছবিও শেয়ার করেন অভিনেত্রী। অন্য একটি ছবিতে কঙ্গনার কাঁধে উত্তরীয়। ওই ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘‘আমি সিনেমায় অভিনয় করা শুরু করার পরে উনি আমাকে ‘প্রাইড অফ ডিএভি’ সম্মানে ভূষিত করেছিলেন।’’ কঙ্গনার দাবি, ওঁর সাফল্যে অনেকেই খুশি হয়েছেন, তবে সব থেকে বেশি গর্ব করেছেন মিসেস সচদেবা। দেশের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে সেরা অধ্যক্ষার পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন ডিএভি কলেজের অধ্যক্ষা মিসেস সচদেবা, সে কথাও সমাজমাধ্যমের পাতায় লিখতে ভোলেননি কঙ্গনা। ভবিষ্যতে তাঁর শিক্ষিকার মতো হতে চান কঙ্গনা। অভিনয় ও ছবি তৈরি করার খুঁটিনাটি পড়াতে চান ছাত্রছাত্রীদের। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নিজের এই স্বপ্নের কথাও ব্যক্ত করেন বলিউডের ‘কুইন’।