আন্ধেরি আদালতে মামলার শুনানিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না, অভিযোগ জানালেন কঙ্গনা।
জাভেদ আখতারের দায়ের করা মানহানির মামলার শুনানির জন্য সোমবারে আদালতে হাজিরা দিলেন কঙ্গনা রানাউত। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আন্ধেরি আদালতে পৌঁছে যান প্রবীণ গীতিকার। কঙ্গনা পৌঁছন নির্দিষ্ট সময়েই। পাশাপাশি অভিনেত্রীর আইনজীবী আদালতের কাছে জানতে চান, জামিনযোগ্য মামলায় কেন প্রতিবার কঙ্গনাকে উপস্থিত থাকতে হবে? সেই সূত্র ধরেই অন্য আদালতে মামলা স্থানান্তরিত করার আবেদন জানান কঙ্গনা। তাঁর দাবি, আদালতের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়েছেন তিনি। আন্ধেরি আদালতে মামলার শুনানিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না। তাঁর আইনজীবী বলেন, অভিনেত্রী মনে করেন আদালত পক্ষপাতদুষ্ট। প্রসঙ্গত, জাভেদের করা মানহানি মামলা বহাল রেখে কঙ্গনার পাল্টা আবেদন বাতিল করে দেয় বোম্বে হাইকোর্ট। হাজিরা নিয়েও কড়াকড়ি করে। ‘কুইন’ ছবির নায়িকার বক্তব্যের পরেই দায়ের হওয়া মামলার শুনানি ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেন মুখ্য মহানগর হাকিম।
এর আগে বোম্বে হাইকোর্টে হাজিরা দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন কঙ্গনা। আদালত ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিনেত্রীর হাজিরার মেয়াদ বাড়িয়েছিল। সেই সময় অভিনেত্রীর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, করোনা সংক্রমণের জন্য স্বেচ্ছাবন্দি কঙ্গনা। তাই তিনি নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা দিতে অপারগ। আইনজীবী সেই মর্মে চিকিৎসকের শংসাপত্রও জমা দিয়েছিলেন আদালতে। তখনই আদালত জানায়, ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে উপস্থিত না হলে বলিউড অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে। পাশাপাশি, জাভেদের আইনজীবীর অভিযোগ ছিল, রানাউত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সমন জারি হওয়ার পর থেকে নানা কারণ দেখিয়ে আদালতের হাজিরা এড়িয়েছেন।
প্রসঙ্গত, কঙ্গনার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি চলতি বছরের গোড়ার দিকে আন্ধেরি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুরু হওয়া মানহানি মামলাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। অন্য দিকে, জাভেদের আইনজীবী জয় ভরদ্বাজ হাইকোর্টকে জানিয়েছেন, গীতিকারের অভিযোগের ভিত্তিতে ম্যাজিস্ট্রেট কঙ্গনার সাক্ষাৎকারের অংশগুলি দেখেন। এবং পুলিশি তদন্তের নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানিকর ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা, এই অভিযোগ জানিয়ে জাভেদ গত বছরের নভেম্বরে কঙ্গনার বিরুদ্ধে আন্ধেরি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন।