Kali Puja 2024

কালীপুজোর রাতে কাঞ্চনের বাড়িতে অঘটন! বন্ধ হওয়া পুজো ফের শুরু হয় শ্রীময়ীর কোন আশ্বাসে?

ঘরের লক্ষ্মী শ্রীময়ীর কাঁধে যাবতীয় দায়িত্ব। তার উপর সামনেই ধনতেরস। তবে স্বামীর কাছে কোনও উপহারের প্রত্যাশা নেই। বরং কালীপুজোর অন্য গল্প শোনালেন ‘মিসেস মল্লিক’।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৪৫
কাঞ্চনের বাড়ির কালীপুজোর গল্প শোনালেন শ্রীময়ী।

কাঞ্চনের বাড়ির কালীপুজোর গল্প শোনালেন শ্রীময়ী। ছবি: সংগৃহীত।

দু’জনের বয়সের পার্থক্য অনেকটাই। তবে দম্পতি হিসেবে দু’জনের বিস্তর মিল। এই প্রজন্মের মেয়ে শ্রীময়ী চট্টরাজ। তবু স্বামী কাঞ্চনের মতোই আধ্যাত্মিক, ঈশ্বর বিশ্বাসী। তাঁর বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত রাধামাধব রয়েছেন। শ্রীময়ীর সঙ্গে বিয়ের বছর কয়েক আগে বাড়িতে কালী মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন কাঞ্চন। তৎকালীন বান্ধবী শ্রীময়ীর ইচ্ছেয়। শ্রীময়ীর কথায়, “প্রথমে আমরা কালীপুজোর দিন খরাজদার বাড়ি যেতাম। তার পর কাঞ্চন পুজো শুরু করল। বিয়ের আগে থেকেই কাঞ্চনকে পুজোর কাজে সাহায্য করতাম।” কিন্তু তখন পুজোর ছবি দিতেন না সমাজমাধ্যমে। সচেতন ভাবেই লুকিয়ে রাখতেন বলে জানালেন শ্রীময়ী। তাঁর কথায়, “তখন একটা ছবি দিলেই পুজো ছেড়ে আমাদের সম্পর্ক নিয়ে শুরু হত চর্চা। লোকে আমাদের দেব-দেবী রূপে বসিয়ে দিত। কিংবা রাক্ষস-রাক্ষসী ভেবে সমালোচনা করত।” তবে এখন আর সমালোচনার ভয় নেই। বিয়ের পর এ বার প্রথম কালীপুজো, ঘরের লক্ষ্মী শ্রীময়ীর কাঁধে যাবতীয় দায়িত্ব। তার উপর সামনেই ধনতেরস। তবে, স্বামীর কাছে কোনও উপহারের প্রত্যাশা নেই। কারণ এই দিনে নিজের জন্য নয়, বরং প্রতিমার জন্য সোনার গয়না কেনেন তিনি।

Advertisement

যদিও এ বছর কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বাড়ির পুজোয় থাকছে না এলাহি আয়োজন। সীমিত ভাবেই পুজো করবেন তাঁরা। একে অভিনেতার ধারাবাহিকের শুটিং, তার উপর কাঞ্চনের ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয়ার অসুস্থতায় পরিবারের কারও মনমেজাজ ভাল নেই। তাই ছোট করেই আয়োজন করা হবে। শ্রীময়ী বলেন, “ছোট করে হলেও পুজো করি নিষ্ঠাভরে। আমি ও কাঞ্চন দু’জনেই নির্জলা উপোস করি। ভোগের যাবতীয় রান্না আমি নিজেই করি। ইতিমধ্যেই মায়ের শাড়ি-গয়না কিনে ফেলেছি। আসলে কাঞ্চন আমি দু’জনেই ঈশ্বরে বিশ্বাসী। ছোটবেলা থেকেই বাড়ির পুজোপাঠ দেখে বড় হয়েছি। তাই বিয়ের পর এগুলো বাড়তি দায়িত্ব মনে হয়নি। বরং আনন্দ সহকারে করি।”

যদিও একটা সময় বিধায়ক অভিনেতা বাড়ির পুজো বন্ধ করে দেন। তবে সেই সময় বান্ধবী ও বর্তমান স্ত্রী শ্রীময়ী আশ্বস্ত করাতেই ফের শুরু করেন পুজো। তারকা-পত্নীর কথায়, “বেশ কয়েক বছর আগে কালীপুজোর রাতেই কাঞ্চনের মায়ের গায়ে আগুন ধরে যায়। তার পরই পুজো বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু আমিই জোর করি। এত বড় দায়িত্ব, কালীপুজো মুখের কথা নয়। আমি আশ্বস্ত করতেই ফের ভরসা পায়। আমি বললাম মা পুজো চাইছেন। ২০২১ সাল থেকে ফের শুরু হল পুজো। এটা তৃতীয় বর্ষ।”

প্রতি বছর দীপাবলিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজো থেকে ফিরে নিজের বাড়ির পুজোয় বসেন কাঞ্চন। গত বছর সঙ্গে ছিলেন শ্রীময়ী। এ বছর অবশ্য শ্রীময়ীর যাওয়া হবে না। কাঞ্চনও যেতে পারবেন কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত জানাতে পারলেন না তারকা-পত্নী।

আরও পড়ুন
Advertisement