তাজপুরে কাঞ্চন মল্লিক-শ্রীময়ী চট্টরাজ। নিজস্ব চিত্র।
ভাগ্যিস জামাইষষ্ঠীর আগে আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে মনের কথা খুলে বলেছিলেন শ্রীময়ী চট্টরাজ! কাঞ্চন মল্লিক বেড়াতে নিয়ে যান না— এই অনুযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। কপট হুমকিও দিয়েছিলেন, ‘‘এ বার বেড়াতে নিয়ে না গেলে ডিভোর্স দেব!’’ তার কয়েকটি দিন কাটতে না কাটতেই সমুদ্রকিনারে নবদম্পতি। চাঁদের আলো গায়ে মেখে প্রেমে ভাসছেন তাঁরা। সেই ছবির নীচে অভিনেত্রীর মিষ্টি বার্তা, ‘চাঁদনি রাতে তোমার সাথে’। সাদা কুর্তা আর জিন্সে ঝকঝকে কাঞ্চন। শ্রীময়ী হালকা নীলচে ড্রেস বেছে নিয়েছেন।
অবশেষে মধুচন্দ্রিমায়? নালিশ জানানোর ফলাফল? শ্রীময়ীর কাছে প্রশ্ন ছিল আনন্দবাজার অনলাইনের। হাসতে হাসতে অভিনেত্রীর জবাব, ‘‘প্রাক্-মধুচন্দ্রিমা বলতে পারেন। কাঞ্চনের বাড়ির লোক, বন্ধুদের নিয়ে দু’দিনের জন্য তাজপুর এসেছি। এখানে কাঞ্চনের শুটিং চলছে। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’ ছবির। জানেন, এক বছর পরে নিয়ে বেরোল! শেষ গিয়েছি তাইল্যান্ড।’’ শ্রীময়ীর স্মৃতিতে তখন এক বছর আগের বেড়ানো ছায়া ফেলেছে।
পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর পাশাপাশি চুরি করে নিজেদের জন্যও সময় বার করে নিয়েছেন অভিনেতা দম্পতি। চাঁদের আলো মেখে নেওয়ার পাশাপাশি আর কী কী করলেন? শ্রীময়ীর কথায়, ‘‘জমিয়ে খাওয়াদাওয়া হচ্ছে। গত রাতে আমরা কাঁকড়া খেয়েছি। রবিবার সকালে শুটিংয়ে যাওয়ার আগে কাঞ্চন রিসর্টে আগাম জানিয়ে গিয়েছে, পমফ্রেট থেকে কাঁকড়া— যত রকমের ভাল ভাল সামুদ্রিক খাবার আছে, সবাই মিলে খাব।’’ প্রসঙ্গত, সৃজিত তাঁর দলবল নিয়ে একটি রিসর্টে উঠেছেন। কাঞ্চন সপরিবার অন্য রিসর্টে। সোমবার শ্রীময়ী কলকাতায় ফিরবেন। মঙ্গলবার থেকে তাঁর ধারাবাহিক ‘আকাশ কুসুম’-এর শুটিং শুরু।
এটা প্রাক্-মধুচন্দ্রিমা হলে আসল মধুচন্দ্রিমা কবে? অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা তার জন্য রেকি শুরু করেছেন! বরফে ঢাকা পাহাড়ি এলাকা শ্রীময়ীর পছন্দ। ফের রসিকতা, মনের মতো জায়গার খোঁজ পেলেই আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়ে রওনা দেবেন তাঁরা।