সেই সুখের দিন অতীত। ছবি: সংগৃহীত।
এককালে উদ্দাম প্রেমে ভেসেছিলেন দু’জনাই। হলিউডের ‘হট কাপল’ বলতে যা বোঝায়, ঠিক তা-ই ছিলেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স আর জাস্টিন টিম্বারলেক। তবে সে সুখের দিন অতীত। পরস্পরের মধ্যে দূরত্ব গভীর। তবুও ব্রিটনির সঙ্গে কাটানো দিনগুলির কথা ভোলেননি জাস্টিন। ভোলেননি, এককালে ব্রিটনির সঙ্গে ‘মুখমৈথুনে’ মেতেছিলেন তিনি।
তাঁদের সম্পর্কের শুরু, নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে। তবে বছর তিনেকের জমাটি প্রেমে ভাটা পড়ে যায় ২০০২ সালের মধ্যে। বিচ্ছেদের জন্য ব্রিটনিকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন জাস্টিন। ব্রিটনিও একই ভাবে পাল্টা দোষারোপ করেছিলেন। তবে তাঁদের মধ্যে যে ঝোড়ো প্রেম ছিল, তা-ও স্বীকার করেছিলেন জাস্টিন। সে সব কথা খোলাখুলিই বলেছিলেন সংবাদমাধ্যমে। জাস্টিনের কথায়, ‘‘সত্যি কথা বলতে কী, আমরা একেবারে আদর্শ জুটি ছিলাম না। আমি কাউকে বিচার করছি না। তবে এটা ঠিক যে কম বয়সের প্রেম বলতে যা বোঝায়, (ব্রিটনির সঙ্গে) তেমনই গাঢ় সম্পর্ক ছিল।’’
গাঢ় সম্পর্কের খুঁটিনাটি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে আর আপত্তি ছিল না জাস্টিনের। ব্রিটনির সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর পরই ‘ক্রাই মি আ রিভার’ গানে নিজের কথা উজাড় করে দিয়েছিলেন তিনি। ব্রিটনির উদ্দেশে গেয়েছিলেন, ‘‘তুমিই আমার সূর্য, আমার দুনিয়া।’’ যদিও ব্রিটনির দাবি ছিল, তাঁদের ভাঙা সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে নিজের কেরিয়ারে ফায়দা তুলেছিলেন জাস্টিন। সে নিয়ে কাজিয়াও কম হয়নি। ভক্তদের রোষের মুখে পড়ে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল জাস্টিনকে। তবে তার আগে অবশ্য ব্রিটনির সঙ্গে তাঁর অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলিও সংবাদমাধ্যমে খোলামেলা বলে দিতে শুরু করেছিলেন তিনি। ‘এনসিঙ্ক’-এর মতো বয়ব্যান্ডের প্রাক্তন গায়ককে এক বার প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘‘আপনি কি ব্রিটনির সঙ্গে মুখমৈথুন করেছিলেন?’’ জাস্টিনের সাফ জবাব ছিল, ‘‘হ্যাঁ, করেছিলাম। আমি তো নোংরা!’’ তার পরেই অবশ্য জিভ কেটে তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘এ বার খুব বিপদে পড়ব। (এই মন্তব্যের জন্য) মায়ের কাছ থেকে ফোন আসবে!’’
বছর কুড়ি আগেকার সেই জুটিকে কি আবার একসঙ্গে দেখা যেতে পারে? এ নিয়ে কম জল্পনা হয়নি। তবে জাস্টিনের কথায়, ‘‘সেটা বলা খুবই কঠিন।’’ তার খানিকটা ধোঁয়াশা রেখেই বলেছিলেন, ‘‘এই মুহূর্তে আমার বান্ধবী কে জানতে চাইলে ১৩টা গানের সিডিতে পেয়ে যাবেন।’’ সাধে কী ব্রিটনি বলেছিলেন, ভাঙা সম্পর্ককে ‘কাজে’ লাগিয়েছিলেন জাস্টিন!