এ ছবিতে শ্রীদেবী-কন্যা খুশি কপূরের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন আমির-পুত্র জুনেইদ খান। ছবি: সংগৃহীত।
ক্রমশ বদলে যাচ্ছে বিনোদন দুনিয়ার ধরন-ধারণ। বড় পর্দায় মুখ থুবড়ে পড়া অনেক ছবিই প্রশংসা এবং সাফল্য, দুই-ই পাচ্ছে ওটিটি-তে মুক্তির পর। ঠিক এমনই হয়েছিল কিরণ রাও পরিচালিত ‘লাপতা লেডিজ়’ ছবির ক্ষেত্রে। এ বার সেই অভিজ্ঞতা ‘লভইয়াপা’-তেও।
দুই তারকা সন্তান জুনেইদ খান ও খুশি কপূরকে নিয়ে ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন অদ্বৈত চন্দন। তামিল ছবি ‘লভ টুডে’-র হিন্দি নির্মাণ এই ছবিতে ফুটে উঠেছে নতুন প্রজন্মের এক প্রেমিক যুগলের কাহিনি। প্রেম এবং পরিবার আর সেই সঙ্গে অচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ মুঠোবন্দি মোবাইল ফোন ও কৃত্রিম মেধা। এই নিয়েই এক নিটোল রোমান্টিক কমেডি ঘরানার ছবি। কিন্তু প্রেক্ষাগৃহে এ ছবি দেখতে যাননি প্রায় কোনও দর্শক। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে মুক্তির পর থেকে প্রায় কোনও রকম দাগই কাটতে পারেনি ছবিটি।
সম্প্রতি ওটিটি-তে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। বহু মানুষ অবসরে দেখে ফেলেছেন। সমাজমাধ্যমে তাঁরা নতুন করে প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছেন। ভাল লেগেছে অনেক দর্শকের। শুধু তা-ই নয়, তাঁরা জুনেইদ-খুশির জুটির সঙ্গে তুলনা করেছেন নব্বইয়ের দশকের গোবিন্দ-করিশমা জুটির। সকলেই প্রায় একবাক্যে স্বীকার করেছেন ভাললাগা তৈরি হয় এ ছবি দেখে। পাশাপাশি রয়েছে একটি সমকালীন সমাজভাবনাও। এমনকি নতুন প্রজন্মের অভিনয় নিয়েও সন্তুষ্ট সাধারণ দর্শক।
এক নেটাগরিক এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “মোটেও খারাপ নয়, একবার দেখা যেতেই পারে ‘লভইয়াপা’। জনসংযোগ খারাপ হলে সবটা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।” খুশি বা জুনেইদ মোটেও খারাপ অভিনয় করেননি বলে দাবি তাঁর। আর এক নেটাগরিক একধাপ এগিয়ে লিখেছেন, “আমার তো ভালই লাগল। এ ছবির মুখ্য চরিত্রে যদি যুবা বয়সের গোবিন্দ এবং করিশমাকে দেখা যেত তা হলে আজকের দিনেও সুপারহিট হতে পারত।”
আমির খানের বড় ছেলে জুনেইদ খানের সঙ্গে ‘লভইয়াপা’র পর খুশি কপূরকে দেখা গিয়েছে ‘নাদানিয়া’ ছবিতে সইফ আলি খানের বড় ছেলে ইব্রাহিমের সঙ্গে। কিন্তু খুশির অভিনয় বড় সমালোচনার মুখে পড়েছে। এমনকি অনেকে কটাক্ষ করেছেন শ্রীদেবী-কন্যা নষ্ট করছেন অন্য তারকা সন্তানদের। যদিও ওটিটি দেখে ‘লভইয়াপা’য় তাঁর প্রশংসা করছেন অনেকেই।