জীতু কমল। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ রাজনৈতিক না কি অরাজনৈতিক, তা নিয়ে তরজা চলছে সমাজমাধ্যমে। কেউ বলছেন, এই আন্দোলনে দলীয় রাজনীতি যেন না থাকে। আর এক দল বলছেন, কারও পক্ষ না নিলেও, কার বিপক্ষে প্রতিবাদ, তা স্পষ্ট হওয়া উচিত। অভিনেতা জীতু কমলও এই প্রসঙ্গে সমাজমাধ্যমে মুখ খুলেছেন। শনিবার জীতু লিখলেন, শুধুই ফেসবুকে বিপ্লব করলে চলবে না। রাস্তায় নামতে হবে।
জীতু তাঁর পোস্টে লেখেন, “শুধু ফেসবুকে বিপ্লব না করে, রাস্তায় নেমে বিপ্লবটা করা উচিত। যেটা আমি আগেও করেছি। আমি একেবারেই অরাজনৈতিক নই। যাঁরা অরাজনৈতিক ভাবে লড়াইটা করতে চাইছেন তাঁদের আমি সম্মান করছি বার বার। আমার মনে হয় খাদ্য আন্দোলনের পর এত সংখ্যক মানুষ এই প্রথম রাস্তায় নেমেছে। তার মানে সবাই তৃণমূল বিরোধী? সবাই রাতারাতি সিপিএম হয়ে গেল? এমনটা কিন্তু নয়।”
এর পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। জীতু লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যপ্রণালী সঠিক হচ্ছে না। তার জন্য আমরা অপসারণ চাইছি। একদম ঠিক। যদি কেউ নিজের দায়িত্ব পালন না করে তা হলে তো তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দায়িত্বটাও মানুষের।”
১৪ অগস্ট রাতে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রাত দখল কর্মসূচিকে যোগ দিয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। জীতু বলেন, “১৪ তারিখ রাতে যাঁরা রাস্তায় নেমেছিলেন, তাঁদের ৯০ শতাংশ মানুষ কিন্তু তৃণমূলকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে এনেছেন। লোকসভা ভোটের আগে যে পরিমাণ লোক বাম গণসংগঠনের ডাকে ব্রিগেড ময়দান ভরিয়েছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকে সিপিএমে ভোট দিয়েছিলেন? প্রশ্ন করুন। তাই মুখে বাম রাজনীতিতে বিশ্বাসী বলেন। অথচ, সম্পূর্ণ ভাবে পল্টিবাজ। তাঁদের চিহ্নিত করুন।”
জীতু দাবি করেছেন, রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী ও স্বাস্থ্যসাথীর পরিষেবা যাঁরা নিচ্ছেন, তাঁরাই ভাতা-বিরোধী স্লোগান তুলছেন। সরাসরি জীতু প্রশ্ন তুলেছেন, “অরাজনৈতিক তো গুটিকয়েক লোক আছে এখন। তাই না? যাঁরা কিনা চটিচাটা। তা হলে যাঁরা চটিচাটা নয় তাঁরা ১৪ তারিখ রাতে সিপিএমের পতাকা হাতে নামলেন না কেন? তাঁরা তো রাজনৈতিক। প্রশ্ন করুন। ‘সফ্ট টার্গেট’কে লক্ষ্য না করে, সম্পূর্ণ জনসমষ্টিকে লক্ষ্য করুন।”