(বাঁ দিকে) ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। জীতু কমল (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
১৪ অগস্ট মধ্যরাতে পথে নামেন সারা বাংলার মহিলারা। সে রাতে আহ্বান করা হয়েছিল ‘মেয়েরা, রাত দখল করো’। গোটা বাংলার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় সর্ব স্তরের মেয়েরা পথে নামেন ওই রাতে। এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন টলিপাড়ার একাধিক তারকা। বাদ পড়েননি অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেননি, আগেই জানিয়েছিলেন, স্বামীর অসুস্থতার কারণে সিঙ্গাপুরে রয়েছেন। তবু কলকাতার নারীদের সঙ্গে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন তিনি। রাস্তায় হেঁটে নয়, বরং শাঁখ বাজিয়েই আরজি কর-কাণ্ডের নিহত চিকিৎসকের হয়ে বিচার চেয়েছিলেন তিনি। শঙ্খবাদনের একটি ভিডিয়ো ঋতুপর্ণা পোস্ট করেন সমাজমাধ্যমে। তার পর থেকেই শুরু হয় অভিনেত্রীকে নিয়ে হাসাহাসি। এ বার অভিনেত্রীর পক্ষে দাঁড়ালেন অভিনেতা জীতু কমল।
ঋতুপর্ণার শাঁখ বাজানোর ধরন নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই ট্রোল করা হচ্ছে অভিনেত্রীকে। তাঁকে ব্যঙ্গ করে অনেকেই একই ধরনের ভিডিয়ো ভাগ করেছেন সমাজমাধ্যমে। কেউ আপত্তি তুলেছেন তাঁর শাঁখ বাজানোর ধরনে, কেউ লিখেছেন, “জলশঙ্খ তো বাজে না, শব্দ এল কোথা থেকে!’’ কেউ কেউ আবার গোটাটাই অভিনয় বলেই কটাক্ষ করেছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ধরনের মন্তব্যের পাল্টা কোনও জবাব দেননি অভিনেত্রী। তবে পোস্টটি মুছে ফেলেছেন তিনি। কিন্তু তত ক্ষণে ওই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যমে।
ঋতুপর্ণার পাশে দাঁড়িয়ে জীতু লেখেন, ‘‘যে শঙ্খ বাজানো নিয়ে এত ট্রোল করা হচ্ছে, সেই শঙ্খ বাজিয়ে তিনি কিন্তু কখনও কোনও পতাকার তলায় দাঁড়াননি। আমি যত দিন দেখেছি, তিনি প্রচুর টেকনিশিয়ানের পাশে দাঁড়িয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরে। আমি তাঁকে খুব কাছ থেকে চিনি। এ ভাবে ট্রোল করে হয়তো তাঁকেও ঘরে চুপ করে বসিয়ে দেওয়া হল। আর হয়তো তিনি কোনও প্রতিবাদে যোগ দেবেন না।’’
পাশপাশি নেটাগরিকদের কাছে অভিনেতার প্রশ্ন, ‘‘ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, উনি তো মহিলা। এই আমাদের সম্মান মহিলাদের প্রতি? এই নিয়ে আমরা লড়াই করব?’’ যদিও শনিবারই ঋতুপর্ণার শাঁখ বাজানোর ধরন নিয়ে তাঁকে সমালোচনা করেছেন আর এক অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। রাজ্য জুড়ে ঘটনার ঘনঘটায় যেন আড়াআড়ি বিভক্ত শিল্পীমহলও।