জীতু কমল। ছবি: সংগৃহীত।
ফেলুদা-ব্যোমকেশ-কিরীটি-শবরদের টেক্কা দিতে এ বার বাংলা সিনেমায় আরও এক গোয়েন্দার আবির্ভাব ঘটতে চলেছে। তবে এই গোয়েন্দাকে অনেকটা ‘অ্যাকসিডেন্টাল ডিটেকটটিভ’ বলা যেতে পারে। ডাক্তারি পড়া এবং ক্রিকেট খেলাই তার ধ্যানজ্ঞান। কিন্তু ঘটনাচক্রে এবং খানিকটা নিজের জামাইবাবুর পাল্লায় পড়েই সে গোয়েন্দাগিরি শুরু করে। ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করবেন জীতু কমল। এবং তাঁর জামাইবাবুর চরিত্রে দেখা যাবে শিলাজিৎ মজুমদারকে। গল্প দুলাল দে-র। পরিচালনার দায়িত্বেও থাকছেন তিনি।
বাংলা সিনেমায় এমনিতেই গোয়েন্দাদের ছড়াছড়ি। তার পরেও পরিচালক এই ধরনের গল্পই কেন বেছে নিলেন? দুলালের কথায়, ‘‘আসলে গল্পের অনেকগুলো দিক রয়েছে। সাধারণ গোয়েন্দাদের মতো নয় আমার গল্পের নায়ক। সে দারুণ ক্রিকেট খেলে। ডাক্তারির ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। পাশাপাশি খুব বুদ্ধি ধরে। একটি ঘটনায় সে কোনও ভাবে জড়িয়ে পড়ে বলেই গোয়েন্দাগিরি করা শুরু করে।’’ তবে দুলালের গোয়েন্দা অন্য বাঙালি গোয়েন্দাদের চেয়ে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই। বাকিদের ভিত যেমন সাহিত্যে, তেমনই এই গোয়েন্দারও থাকবে। দুলাল জানালেন, তাঁর গল্প বই আকারে প্রকাশ পাবে ছবিমুক্তির আগেই। এবং বাকি গোয়েন্দাদের মতোই এই গোয়েন্দাও একাধিক কেসের সমাধান করবে এ বার থেকে।
টলিউডে নাকি গোয়েন্দা চরিত্রে অভিনয় না করলে কোনও অভিনেতার কদর বাড়ে না। জীতু যদিও ফেলুদার স্রষ্টার ভূমিকায় ইতিমধ্যেই ‘অপরাজিত’, কিন্তু নিজে গোয়েন্দা হতে পেরে কেমন লাগছে তাঁর? জীতু বললেন, ‘‘আমি এর আগে গোয়েন্দার প্রস্তাব পেয়েছি। কিরীটীর ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ এসেছিল আমার। কিন্তু আমার মনে হয় এখানে ফেলুদা বা ব্যোমকেশ খুব কমার্শিয়ালি হয়। তাতে অবশ্য সকলেই নিজের মতো করে দারুণ অভিনয় করেন। কিন্তু আমার খুব একটা ইচ্ছে হয়নি। এই গোয়েন্দা চরিত্রটা অন্য রকম। সে খুব ইনটেনশনালি গোয়েন্দাগিরি করে না। বরং ভিতরকার ইন্স্টিঙ্কট থেকে করে। মনে হয়েছিল, এই চরিত্রটা করলে বাস্তবে অভিনেতা হিসাবে আমার বেশি সুবিধা হবে। তাই রাজি হয়ে যাই।’’ পাশাপাশি ক্রিকেটারের ভূমিকা পেয়েও খুশি জীতু। কারণ, বাস্তবেও ২২ গজে তিনি যথেষ্ট পারদর্শী।
এখনও পর্যন্ত ছবির নাম ঠিক হয়েছে ‘অরণ্য’র প্রাচীন প্রবাদ’। জীতু এবং শিলাজিৎ ছাড়াও ছবিতে দেখা যাবে রফিয়াত রশিদ মিথিলা, সুহোত্র মুখোপাধ্যায়, লোকনাথ দে-র মতো আরও অনেক অভিনেতাকে। অতিথি চরিত্রে দেখা যাবে কাউন্সিলার অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ছবির সিনেম্যাটোগ্রাফি করবেন প্রতীপ মুখোপাধ্যায়।