দীপাবলিতে এই প্রথম বার রুপোলি পর্দার গান ছেড়ে ভক্তিগীতিতে ডুব দিলেন ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’-র সুরকার।
জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এত রকমের গান গেয়েছেন, সুর দিয়েছেন! শুধু শ্যামাসঙ্গীত ছাড়া। এই নিয়ে তাঁর যত না আক্ষেপ, তাঁর মায়ের ছিল বেশি। আক্ষেপই এ বছর আদেশের চেহারা নিল। তার ফল? দীপাবলিতে এই প্রথম বার রুপোলি পর্দার গান ছেড়ে ভক্তিগীতিতে ডুব দিলেন ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’-র সুরকার।
আনন্দবাজার অনলাইনকে শিল্পী বললেন, ‘‘প্রতি বছর মা বলেন— সব গাইলি, একটা শ্যামাসঙ্গীত গাইলি না? আমারও খুব ইচ্ছে ছিল, একটা ভক্তিমূলক গান গাই। কিন্তু কিছুতেই হচ্ছিল না।’’ জিতের দাবি, দীপাবলির আগে তাঁর মায়ের নির্দেশ, এক ঘণ্টার মধ্যে গান চাই। সঙ্গে সঙ্গে তিনি আর চন্দ্রাণী গঙ্গোপাধ্যায় বসে পড়েন। চন্দ্রাণী লেখা, তাঁর সুর। গান তৈরি!
ভক্তিমূলক গান নাকি সংযোগ ছাড়া হয় না? স্বীকার করে নিয়েছেন জিৎ। জানিয়েছেন, সেই কারণেই তাঁর এত দিন সময় লেগে গেল। নিজের মায়ের পাশাপাশি তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন এসভিএফ প্রযোজনা সংস্থাকে। যাদের সঙ্গে জিতের গাঁটছড়া বহু দিনের।
লাল ধুতি-পাঞ্জাবি, কপালে লাল সিঁদুরের তিলক। সাজেও জিৎ যেন নিজেকে সঁপে দিয়েছেন তারা মায়ের চরণে। শিল্পীর কণ্ঠে ‘তারা তুই’ গান। প্রদীপ, ফুলের রঙ্গোলি, তারা মায়ের চিত্রপট, মাটির দেওয়ালে আলপনা— পুরোদস্তুর রামপ্রসাদী আবহ গানের ভিডিয়ো জুড়ে। জিতের কথায়, এটিই তাঁর প্রথম মিউজিক ভিডিয়ো। গানের ভক্তি এই প্রজন্মকেও ছুঁয়ে যাক, এটাই আন্তরিক কা
ভাইব্রেশন স্টুডিয়োয় গানের রেকর্ডিং। গতে বাঁধা পথে না চলে শ্যামাসঙ্গীতেও জিৎ ব্যবহার করেছেন গিটার, ড্রাম। ছবির গানে অভ্যস্ত সুরকারের কাছে শ্যামাসঙ্গীত গাওয়া বা সুর দেওয়া কি কঠিন? জিতের দাবি, ‘‘এক জন সুরকার সব ধরনের গানে সুর দেওয়ার জন্য তৈরি থাকেন। একই ভাবে এক জন গায়ক প্রস্তুত থাকেন সব রকমের গান গাওয়ার জন্য। আমি ‘হামারি অধুরি কহানি’ ছবিতে যেমন সুর দিয়েছি, তেমনই ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’-তে ‘ঢাকের তালে’-ও করেছি। সব সময়েই আমি পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত।’’
শিল্পীর যুক্তি, মায়ের আশীর্বাদ ছাড়া কিচ্ছু হয় না। জন্মদাত্রী এবং তারা মা চেয়েছেন বলেই অবশেষে ভক্তিমূলক গানও গাওয়া হল তাঁর। এমনটাই বলছেন জিৎ।