রাজ্য জুড়ে ‘জওয়ান’-এর জয়জয়কার। ছবি: সংগৃহীত।
প্রথম দিনেই দেশ জুড়ে বক্স অফিসে সুনামি ‘জওয়ান’-এর। প্রথম দিনেই ভারতে এই ছবি আয় করেছে ৭৫ কোটি টাকা। যা হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি। ‘কেজিএফ’ থেকে ‘বাহুবলী’— শাহরুখের ‘জওয়ান’-এর সামনে টিকতে পারেনি কেউই। জানুয়ারি মাসে মুক্তি পায় ‘পাঠান’। প্রথম দিন ‘পাঠানে’র ব্যবসার অঙ্ক ছিল ৫৭ কোটি টাকা। যা নজির গড়েছিল। এমনকি, নিজের ছবি ‘পাঠানে’র নজিরও নিজেই ভেঙে দিলেন অভিনেতা। একটা সময় ছিল, যখন রোম্যান্সের বাদশা ছিলেন শাহরুখ। তবে বদলে যাওয়া সিনেমা ও দর্শকের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে অ্যাকশন হিরো গড়ে তুলেছেন তিনি। একটা সময় পর পর ব্যর্থতা আসে, নিন্দামন্দও কম হয়নি তাঁকে নিয়ে। তবে চার বছরের বিরতি নিয়ে প্রত্যাবর্তন করতেই ফের বক্স অফিস দখল করলেন বাদশা। ভারতে ৭৫ কোটির ব্যবসা করলেও পশ্চিমবঙ্গে কেমন ফল করল এই ছবি, কত কোটি টাকার ব্যবসা করল ‘জওয়ান’?
গোটা দেশে ‘জওয়ান’ নিয়ে যে উন্মাদনার চিত্র চোখে পড়ে, পশ্চিমবঙ্গেও তার অন্যথা হয়নি। ভোর ৫টার শোতেই হাউসফুল। প্রেক্ষাগৃহের বাইরে লাইন। সিনেমা হলের বাইরে নাচেগানে সংলাপে শাহরুখের ‘জওয়ান’ উদ্যাপনের চিত্রটাই দেখে গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। প্রথম দিনের প্রথম শো দেখার উন্মাদনা শাহরুখ অনুরাগীদের মধ্যে। আর তাতেই সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এই ছবি। বাংলায় এই ছবির পরিবেশক ‘এসভিএফ ফিল্মস’। সম্প্রতি বাংলার বিভিন্ন জেলায় কেমন ফল করেছে এই ছবি, তার খতিয়ান দিয়ে টুইট করেছেন সিনেমা বিশেষজ্ঞ তরণ আদর্শ। হলদিয়াতে জওয়ানের প্রথম দিনের আয় ৪,৮৬,১৮৩। দুর্গাপুরে ৩,৭৯,৪৮৫। নরেন্দ্রপুরে ৩,৩০,৩৪২, চুঁচুড়ায় ২,৯৮,৮৭৬ লাখ। পুরুলিয়ায় আয় ৩,২৮,০১৬। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও আয়ের যে হিসাব পাওয়া গিয়েছে তা চোখে পড়ার মতো। শুধুমাত্র কোচবিহার থেকেই ২,২১,০৫৯ লক্ষ টাকা, জলপাইগুড়িতে ২,২৭,২৬০ লক্ষ টাকা এবং রায়গঞ্জে আয় করেছে ৩,৩৫,৪৩৩। অসমেও দুরন্ত উড়ান নিয়েছে এই ছবি। যদিও তরণ আদর্শের পোস্ট করা এসভিএফ সিনেমার তালিকায় কলকাতা, বর্ধমান, শিলিগুড়ি, বীরভূমের মতো জায়গাগুলির উল্লেখ নেই। তবে সূত্রের খবর, সাকুল্যে এই ছবি শুধুমাত্র বাংলায় আয় করেছে চার কোটি টাকা। এর আগে বাংলা সব থেকে বেশি আয় ছিল ‘কেজিএফ ২’-এর। সেই নজির ভেঙে চুরমার করে দিলেন ‘কিং খান’।