জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ় ও সুকেশ চন্দ্রশেখর। ছবি: সংগৃহীত।
২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপ মামলায় জেলবন্দি কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখর। তাঁর সঙ্গে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়ের সম্পর্কের চর্চা নতুন নয়। শোনা যায়, এক সময় নাকি কনম্যান সুকেশের প্রেমে পড়েছিলেন ‘কিক’ খ্যাত অভিনেত্রী। সম্পর্কে থাকাকালীন নাকি সুকেশের কাছ থেকে একাধিক দামি উপহারও পেয়েছেন তিনি। সুকেশের সঙ্গে নাম জড়ানোর জেরে একাধিক বার বিতর্কের মুখে পড়েছেন জ্যাকলিন। প্রতারণাকাণ্ডের তদন্ত চলাকালীন একাধিক বার আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। শুধু তাই-ই নয়, অভিনেত্রীর বিদেশযাত্রাতেও জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। সেই নিষেধাজ্ঞা তোলা হয় গত বছর। তবে নতুন বছরে নতুন ফাঁপরে পড়লেন জ্যাকলিন। সুকেশের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন জেনেশুনেই নাকি তাঁর কাছ থেকে একাধিক দামি উপহার গ্রহণ করেছিলেন বলিউড নায়িকা, দাবি তদন্তকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ইডির।
সম্প্রতি আর্থিক তছরুপ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে এক গুচ্ছ নতুন অভিযোগ এনেছে ই়ডি। তদন্তকারীদের দাবি, সুকেশের স্বরূপ নাকি আগে থেকেই জানতেন জ্যাকলিন। তা সত্ত্বেও তাঁর দেওয়া দামি উপহার নিজের কাছে রেখেছিলেন নায়িকা। শুধু তাই-ই নয়, প্রতারণার টাকার লভ্যাংশও নাকি পেয়েছিলেন জ্যাকলিন। তবে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নাকি তা কখনও স্বীকার করেননি অভিনেত্রী। এমনকি, ইডির অভিযোগ— সুকেশের গ্রেফতারির পর নিজের ফোন থেকে সব তথ্য মুছে ফেলে সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্ট করারও নাকি চেষ্টা করেছিলেন জ্যাকলিন। নিজের মোবাইল ফোন থেকে তো বটেই, নিজের সহকর্মীদের ফোন থেকেও সাক্ষ্যপ্রমাণ সরিয়ে ফেলার কথা বলেছিলেন নায়িকা, অভিযোগ ইডির।
২০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন জ্যাকলিন। সেই আর্জির ভিত্তিতেই দিল্লি হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করে তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সেই হলফনামাতেই জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে উক্ত অভিযোগ তোলেন ইডি কর্তৃপক্ষ।