Mimi-Jeet

‘মিমি খুব সুন্দরী!’ ‘তুফান’-এর পর রায়হান রাফীর আগামী ছবিতে জিৎ?

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নন পরিচালক রায়হান রাফী। তাঁর বক্তব্য, টলিউডের অনেককেই তাঁর পছন্দ। তাই এখনই কারও নাম উল্লেখ করতে চান না তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪ ১৯:৫১
Image Of Jeet, Raihan Rafi, Mimi Chakraborty

(বাঁ দিক থেকে) জিৎ, রায়হান রাফী, মিমি চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।

অস্ট্রেলিয়া, কানাডা-সহ নানা দেশে ইতিমধ্যে ‘তুফান’ তুলেছে শাকিব খান-মিমি চক্রবর্তী জুটি। রায়হান রাফীর তৃতীয় ছবি ‘তুফান’ ভারতে মুক্তি পাচ্ছে ৫ জুলাই। তার আগেই নতুন চর্চা পরিচালককে ঘিরে। ‘পরান’, ‘সুড়ঙ্গ’, ‘তুফান’-এর পর চতুর্থ ছবিও যাতে ব্লকবাস্টার হয় তার অঙ্ক নাকি আগাম কষে ফেলেছেন পরিচালক। গুঞ্জন, রাফীর পরের ছবির নায়ক নাকি জিৎ। খবরের সত্যতা জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল পরিচালকের সঙ্গে। তাঁর জবাব, “ভারতের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় আরও ছবি তৈরির ইচ্ছে আছে। জিৎদা বাংলার সুপারস্টার। ওঁর সঙ্গে কাজ করতে পারলে খুবই ভাল লাগবে। কিন্তু বাংলা ইন্ডাস্ট্রির আরও অনেককেই আমার পছন্দ। তাই এখনই আলাদা করে কারও নাম উল্লেখ করার সময় আসেনি।”

Advertisement

‘তুফান’ দিয়ে টলিপাড়ায় পা রাখলেন রায়হান। প্রথম অভ্যর্থনা কেমন ছিল? “খুবই ভাল”, দাবি তাঁর। এ-ও জানিয়েছেন, বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতারা আন্তরিক, পরিশ্রমী এবং পেশাদার। পাশাপাশি, তাঁরা গুণীদের কদর করেন। ফলে, কাজ করতে এসে তাঁর কোনও অসুবিধে হয়নি। তার উপরে ভাষাও বাংলা। ফলে, নিজের দেশে কাজ করছেন, সারা ক্ষণ এই অনুভূতিটাই তাঁর মনে কাজ করেছে। পরিচালকের মতে, সেই জন্য কাজটাও ভাল হয়েছে। আর ছবির নায়িকা মিমি চক্রবর্তী? ফোনের ও পারে লাজুক হাসি হেসে বললেন, “খুব সুন্দরী।” দাবি, একদম মাটির কাছাকাছি। শুটিংয়ের সময় কোনও বায়নাক্কা ছিল না তাঁর। তার পরেই স্মৃতিতে ডুব, “কলকাতা তখন ৪৫ ডিগ্রি গরমে ফুটছে। তখনও শাকিব আর মিমির মুখে হাসি! ওঁদের যে কষ্ট হচ্ছে, সেটা একটুও বুঝতে দেননি আমাকে।”

রায়হান বাণিজ্যিক ঘরানার ছবি ভালবাসেন। সেই ধরনের ছবিই বানান। সেই কারণেই কি দুই বাংলার প্রথম সারির তারকাদের নিলেন? পরিচালকের কথায়, “আরও কারণ আছে। এক, শাকিব পশ্চিমবঙ্গের অনেক নায়িকার সঙ্গে কাজ করছেন। মিমির সঙ্গে করেননি। তাই ওঁদের জুটি বানালাম। দুই, দর্শক নতুন জুটি দেখতে খুব ভালবাসে। শাকিব-মিমির জুটি আবারও সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে। তিন, দু’জনেই দুই বাংলার সেরা অভিনেতা।” তাঁর তৃতীয় ছবি যাতে সব দিক থেকে সেরা হয়, তার জন্যই তিনি দুই পারের নায়ক-নায়িকা নিয়েছেন। ছবির প্রযোজকও দুই বাংলার।

শুটিং করেছেন প্রয়াগরাজ, কলকাতা, বাংলাদেশ মিলিয়ে। রায়হানের বক্তব্য, “ছবি তৈরির সময় কোনও সমঝোতা করিনি। যেখানে যা দরকার, সবটাই দিয়েছি। তার জন্য তিনি দুই বাংলার ইন্ডাস্ট্রিকে এক হয়ে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তাঁর উদাহরণ দক্ষিণী বিনোদন দুনিয়া। যুক্তি, “দক্ষিণী দুনিয়া একজোট হয়ে কাজ করছে বলেই ওদের একের পর এক ছবি বাণিজ্যিক দিক থেকে সফল।”

আরও পড়ুন
Advertisement