ইন্দ্রনীল এবং অম্বরীশের ব্যক্তিগত সম্পর্কের সমীকরণ
মাঝে কেটে গিয়েছে ১৪ বছর। কিন্তু প্রথম সব কিছুর স্মৃতি যে সব সময়ে তরতাজাই থাকে! তার প্রমাণ মিলল মন্ত্রী, বিধায়ক, গায়ক, প্রযোজক ইন্দ্রনীল সেন এবং অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্যের আলাপচারিতায়। দু’জনের ব্যক্তিগত সম্পর্কের সমীকরণের দরজা খুলল আনন্দবাজার অনলাইনের শনিবাসরীয় লাইভ আড্ডায়।
লাইভের অতিথি ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে কথোপকথন চলাকালীন মন্তব্য বাক্সে আবির্ভাব অভিনেতা, গায়ক অম্বরীশের। তিনি লেখেন, ‘ইন্দ্রনীলদা না থাকলে আমার আজ অভিনয় করাই হত না।’
এই মন্তব্যের সূত্র খুঁজতে ফিরে যেতে হবে ২০০৭ সালে। সে সময়কার এক জনপ্রিয় কৌতুক ধারাবাহিক ‘রাজা অ্যান্ড গজা’-তেই প্রথম বার পর্দায় মুখ দেখান অম্বরীশ। ‘রাজা’র চরিত্রে অভিনয় করতেন সৌরভ চক্রবর্তী। ‘গজা’র চরিত্রে অভিনয়ে হাতেখড়ি আজকের জনপ্রিয় ‘পটকা’র।
‘‘আমি গজা, গজেন্দ্র চৌধুরী, কেয়ার অব পঞ্চানন চৌধুরী’’, অম্বরীশের এই সংলাপও আজও বাংলা ধারাবাহিকের দর্শকদের মুখে মুখে। সেই ধারাবাহিকেরই প্রযোজক ছিলেন ইন্দ্রনীল। তাঁর হাত ধরেই অম্বরীশ প্রথম সাফল্য এবং জনপ্রিয়তার স্বাদ খুঁজে পান।
আনন্দবাজার অনলাইনের আড্ডায় সেই স্মৃতিচারণে মাতলেন অম্বরীশ-ইন্দ্রনীল। এক জন পর্দায়। অন্য জন মন্তব্য বাক্সে।
অম্বরীশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অধুনা মন্ত্রী-বিধায়ক। বললেন, ‘‘আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি ওর মতো এক জন ছেলেকে সুযোগ দিতে পেরে। নিজের প্রতিভার জোরে সে কিন্তু আজ এই জায়গায় এসে পৌঁছেছে। আমি ওকে নিয়ে গর্বিত।’’
শুধু তা-ই নয়, ইন্দ্রনীলের কথায় স্পষ্ট হল, অম্বরীশ তাঁর কাছে আজও ১৪ বছর আগের দেখা সেই তরুণ। মন্ত্রী তাই বলেই ফেললেন, ‘‘আমার কাছে অম্বরীশ এখনও ছেলেমানুষ।’’ বাংলার প্রতিষ্ঠিত গায়ক তাঁর ‘গজা’র গায়কীর গুণগানও করলেন মন খুলেই।