ইন্দ্রাণী হালদার। ছবি: সংগৃহীত।
২০১৯ থেকে ২০২১। ধারাবাহিক ‘শ্রীময়ী’র দৌলতে দুই বছর ধরে ছোট পর্দা নিজের বশে রেখেছিলেন। কিন্তু ধারাবাহিক শেষ হতেই আচমকা উধাও ইন্দ্রাণী হালদার!
২০২৪-এর মাঝামাঝি পার। অভিনেত্রীর কোনও সাড়াশব্দ নেই। গত বছর অবশ্য মুক্তি পেয়েছে ইন্দ্রাণী অভিনীত সিরিজ় ‘ছোটলোক’। যার শুটিং হয়ে গিয়েছিল ২০২১-এ। এত দিন ধরে কেন তিনি অভিনয় থেকে দূরে? এই নিয়ে তাঁর অনুরাগী ও ছোট পর্দার দর্শকের মনে বেশ কৌতূহল। ইন্দ্রাণী যে শুধু অভিনয়েই নেই তা নয়, তাঁর কোনও সাড়াশব্দও নেই! কোনও সংবাদমাধ্যম তাঁর নাগাল পর্যন্ত পাচ্ছে না। অবশেষে রথযাত্রার আগের দিন আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন ইন্দ্রাণী। কাজ প্রসঙ্গে তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, “এখন ৩ মাসে ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কী কাজ করব?”
এত দিন নীরব থাকার কারণও এটাই। তাঁর যুক্তি, “বলার মতো কিছু করছি না তো। কেন শুধু শুধু সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলব? বলবই বা কী?”
তিনি আরও জানিয়েছেন, লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘শ্রীময়ী’ শেষ হওয়ার পর প্রচুর কাজের ডাক পেয়েছেন। অবশ্যই ছোট পর্দায়, সিরিজ়ে। কিন্তু মনে রাখার মতো চরিত্র পাননি। যা তাঁর আগের ধারাবাহিককে ছাপিয়ে যাবে। ইন্দ্রাণীর কথায়, “গত কয়েক বছর ধরে বাংলা ধারাবাহিকের কী খারাপ অবস্থা! মেগা বলে আর কিছুই হচ্ছে না। এক একটি ধারাবাহিকের আয়ু গড়ে দুই থেকে তিন মাস! এই পরিস্থিতিতে একটু বুঝে পা না ফেললে আমারই বদনাম হবে।” সিরি়জ়ের ক্ষেত্রেও তাঁর একই বক্তব্য। ডাক পাচ্ছেন অনেক। কিন্তু গল্প বা চরিত্র কোনওটাই তাঁর মনে দাগ কাটতে পারছে না। ফলে, তিনি অভিনয় থেকে দূরে।
এমনও শোনা গিয়েছিল, রাজনীতির ময়দানে পা রাখার কথা ভেবেছিলেন অভিনেত্রী। কয়েকটি প্রচারেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তাঁর আশা পূর্ণ না হওয়ায় তিনি নাকি অভিমানে সকলের থেকে, সব কিছু থেকে দূরে! এই গুঞ্জনও নস্যাৎ করেছেন ইন্দ্রাণী। তাঁর মতে, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বরাবর ভাল সম্পর্ক। সেই সুবাদে কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলাম। এর বেশি কিছুই না। আমি নিজে রাজনীতি পছন্দ করি না। রাজনীতিতে কী আসব!”