নুসরত জাহান সত্যিই একজন ভাল নৃত্যশিল্পী, মনে করেন বাবা যাদব। ছবি: সংগৃহীত।
বহু বছর আগে রবি কিনাগির ছবি ‘জামাই ৪২০’-এ প্রথম দেখা নুসরত জাহানের সঙ্গে। তখনও ছবির জগতে নতুন। এর আগে হয়তো চার-পাঁচটি ছবি করেছে। কিন্তু প্রথম কাজেই আমার ভাল লেগেছিল ওকে। সে সময় থেকেই আমার বার বার মনে হয়েছে, এই নায়িকার সঙ্গে কাজের সুযোগ পেলে তো ভালই হয়। হয়েছে সেই সুযোগ। একের পর এক কাজ করেছি আমি আর নুসরত। এমনকি মিউজ়িক ভিডিয়োর কাজও করেছি, বাংলাদেশেও কাজ করেছি।
ব্যক্তি নুসরতের যে গুণটি আমার সব থেকে ভাল লাগে, তা হল ওর শেখার চেষ্টা। ও সত্যিই একজন ভাল নৃত্যশিল্পী। কিন্তু কখনই যেন তৃপ্ত হয় না। সব সময় আরও ভাল নাচের জন্য পরিশ্রম করতে চায়। আমার মনে আছে, ২০১৬ সালে ‘হরিপদ ব্যান্ডওয়ালা’ মুক্তি পেল। ওই ছবিতে একটা গান ছিল ‘সোনা’। নুসরতের সঙ্গে অঙ্কুশ। নাচের অংশ ছিল অনেকটা। ভীষণ ভয় পাচ্ছিল নুসরত। বার বার আমার কাছে এসে নিজের নাচের অংশটা ঝালিয়ে নিতে চাইছিল। আমি অনেকবার ওকে আশ্বস্ত করে বলেছি, আরে তুমি ভালই করছ। কিন্তু তাতেও ভবি ভোলে না। আসলে অঙ্কুশ নিজে খুব ভাল নাচে, ফলে নুসরতের মনে হচ্ছিল কোনও ভাবেই যেন নায়কের পাশে ওকে ফিকে না মনে হয়।
সব থেকে আশ্চর্যের বিষয়, অভিনয় জগতে এত বছর কাটিয়ে ফেললেও নুসরত একই রকম রয়ে গিয়েছে। ২০১৬-য় ‘হরিপদ ব্যান্ডওয়ালা’ থেকে ২০২৪-এ ‘সেন্টিমেন্টাল’, অভিনেত্রীর কোনও বদল হয়নি। ‘বন্ধু আমার রসিয়া’ গানের ক্ষেত্রেও একই রকম উদ্বেগে ছিল ও। বার বার অনুশীলন করেছে একই গান। বার বার বলেছে, আমি আর এক বার দেখে নিতে চাই।
নুসরত এমনই। পরিশ্রম করতে কোথাও ত্রুটি রাখে না। ভীষণই খুঁতখুঁতে। অথচ, যখন ‘সেন্টিমেন্টাল’-এর শুটিং হচ্ছে তখন ও একজন সাংসদ, প্রচুর কাজের চাপ। তারই সঙ্গে নিজে ছবির প্রযোজক। অথচ, অভিনয়ের ক্ষেত্রে এতটুকু আপস করেনি। নুসরত এমনই।
আজ ওর জন্মদিন। শুনেছি, এই মুহূর্তে বিদেশে রয়েছে। তাই ফোন করেও পাইনি। আনন্দবাজার অনলাইনের মাধ্যমেই আমার প্রিয় অভিনেত্রীকে জানাই শুভেচ্ছা। যে ভাবে এত দূর এগিয়ে এসেছে, সে ভাবেই আরও অনেক দূর এগিয়ে যাক। সাফল্য আসুক অভিনয় জীবনে, ব্যক্তিগত জীবনে।
আরও অনেক কাজ নুসরতের সঙ্গে করতে
চাই আমি। কিছু কিছু ভাবনাচিন্তাও রয়েছে। সে কাজে আমি এগিয়েছি অনেকখানি। এখন
অপেক্ষা শুধু একজন প্রযোজকের। তা হলে আবারও নুসরতের সঙ্গে কাজ করতে পারব আমি।
(লেখক বিশিষ্ট করিয়োগ্রাফার এবং পরিচালক)