তাপসী পান্নু
সমাজমাধ্যম আবিষ্কারের ফলে মানবজাতি বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়েছে। ভারতবর্ষ গণতান্ত্রিক দেশ। তাই সমাজমাধ্যমে যে যা খুশি মন্তব্য করতেই পারেন। কিন্তু...
এই ‘কিন্তু’ নিয়েই চিন্তিত অভিনেত্রী তাপসী পান্নু। সমাজমাধ্যমের সুফলকে ছাড়িয়ে গিয়েছে কুফল। জঘন্য, কটু, কুৎসিত, অশালীন মন্তব্যে বিধ্বস্ত তারকারা। কারও কারও মনে প্রভাব ফেলে এই ধরনের ট্রোলিং। তাপসীর পরিবারও এই সব কিছুতে প্রভাবিত হয়ে পড়ছে বার বার। তাপসী জানালেন, ‘‘আমার পরিবারের কেউই চলচ্চিত্র জগতের মানুষ নন। তাই তাঁদের অসুবিধা হয় এ সব দেখতে। কিন্তু আমি জানি, তাঁদের অভ্যস্ত হতে হবে। না হলে কিছু করার নেই।’’
তাপসী বিশ্বাস করেন, ট্রোলিং বন্ধ হবে না। সমাজমাধ্যম দূষিত হয়ে গিয়েছে। দুঃখের বিষয়, সেটার সঙ্গেই মানিয়ে নিচ্ছেন সকলে। তাপসীও তাঁদেরই এক জন। যিনি মনে করেন, ট্রোলিং থামানোর ক্ষমতা তাঁর নেই।
একই সঙ্গে তাপসী এই ট্রোলিংয়ের ফলে একটি জিনিস উপলব্ধি করেছেন। ট্রোলিংয়ের শিকার তাঁরাই হন, যাঁদের কথার দাম রয়েছে। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘তার মানে আমার বক্তব্য ও মতামত এই সমাজে প্রভাব ফেলছে। মানুষ আমার কথা শুনছে। আর তাই ট্রোল করে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হচ্ছে। আমার মুখ বন্ধ করার চেষ্টা চলছে সে জন্যই।’’
এটাই তাপসীর কাছে এক মাত্র পাওনা। কিন্তু তাও তিনি ট্রোলিংয়ের উত্তর দিতে চান না। তিনি মনে করেন, কুমন্তব্যের জবাব দিতে থাকলে তাঁর মর্যাদাহানী হবে। তাই নিজের মতপ্রকাশ করবেন। যে ভাবে জীবনটাকে যাপন করতে চান, সে ভাবেই করবেন। কে কী বলছে তার ভিত্তিতে নিজেকে বদলাবেন না।