Uttam Kumar

Uttam Kumar: ময়রা স্ট্রিটে চলে যাওয়ার পরেও ভাইফোঁটা নিতে ভাল কাকু আসতেন ভবানীপুরে

পরনে ধাক্কা পাড় ধুতি আর পাঞ্জাবি, গ্ল্যামার যেন আলোর মতো গা বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে!

Advertisement
শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২১ ২১:৪১
‘ভাল কাকুর সব কিছুই ছিল দেখার মতো’

‘ভাল কাকুর সব কিছুই ছিল দেখার মতো’


আপনাদের উত্তমকুমার আমাদের শুধুই ‘ভাল কাকু’। কখনওই মহানায়ক নন। ভাল কাকুর লক্ষ্মীপুজো কিংবদন্তি। শুনেছি, কালীপুজোতেও কাকু নাকি অল্পস্বল্প বাজি পোড়াতেন। ভাই ফোঁটার দিনে কী করতেন? উত্তমকুমারের নিজের কোনও বোন বা দিদি ছিলেন না। তাঁর এক মাত্র দিদি পুতুলদি অনেক ছোট বেলায় মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু অনেক তুতো বোন ছিলেন। মহানায়ক তকমা ছেড়ে এই দিন তিনি শুধুই বোনেদের ‘দাদা’।

ভাল কাকুর সব কিছুই ছিল দেখার মতো। ভাইফোঁটায় তিনিই আসরের মধ্যমণি। আপন দুই ভাই সহ সমস্ত ভাইদের নিয়ে একসঙ্গে বসতেন। পরনে ধাক্কা পাড় ধুতি আর পাঞ্জাবি। গ্ল্যামার যেন আলোর মতো গা বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে! সব দিদি-বোনেরা একে একে ফোঁটা দিচ্ছেন। ফোঁটার পর্ব শেষ হলে তাঁকে প্রণাম করে ধুতি-পাঞ্জাবি উপহার দিতেন সবাই। বোনদের কাকু দিতেন দামি শাড়ি। সে সময়ে শাড়ি পরার রেওয়াজই ছিল বেশি। আর কাকুর আবদার ছিল— মিষ্টির থালায় নাড়ু, রসগোল্লা, পান্তুয়া থাকতেই হবে।

Advertisement

মধ্যাহ্নভোজ আমাদের ঠাকুমা, পিসি, জেঠি, মাসিরা রাঁধতেন। সে-ও এলাহি ব্যাপার। ভাত, সোনা মুগের ডাল, পাঁচ রকম ভাজা, তরকারি, মাছের কালিয়া, পাঁঠার মাংস থাকত। কাকু যে শুধুই বাড়ির বোনেদের থেকে ফোঁটা নিতেন, তা নয় কিন্ত। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই তাঁকে নিজের দাদা বলে মানতেন। তাঁরাও এসে ফোঁটা দিয়ে যেতেন। ময়রা স্ট্রিটে চলে যাওয়ার পরেও কাকু কোনও দিন ভাইফোঁটা থেকে দূরে থাকেননি। প্রতি বছর নিয়ম করে ভবানীপুরে আসতেন। ফোঁটা নিয়ে সারা দিন হইহই করে রাতে আবার ফিরে যেতেন।

Advertisement
আরও পড়ুন