ধারাবাহিক ‘মন ফাগুন’-এর প্রচার দৃশ্য গত কয়েক দিন ধরে ভাইরাল। সেই সঙ্গে সবার কৌতুহল, বাস্তবে দোল উৎসব কী ভাবে উদযাপন করছেন পর্দার ঋষিরাজ-প্রিয়দর্শিনী ওরফে শন বন্দ্যোপাধ্যায়-সৃজলা গুহ? অনুরাগীদের প্রশ্ন আনন্দবাজার অনলাইন পৌঁছে দিয়েছে দুই অভিনেতার কাছে।
দোলে কাছাকাছি ঋষিরাজ-পিহু
২০২২-এর বসন্ত উৎসব ঋষিরাজ সেনকে নতুন জীবন দিয়েছে। বহু যুগ পরে প্রতীক্ষা শেষ। পিহু হয়ে ফিরে এসেছে তার হারিয়ে যাওয়া প্রিয়া। টুবাইদার জীবনে প্রিয়দর্শিনী হাজির নতুন রূপে। সেই আনন্দেই লাল আবিরে প্রিয়ার সিঁথি রাঙিয়ে দিয়েছে ঋষি। ধারাবাহিক ‘মন ফাগুন’-এর এই প্রচার দৃশ্য গত কয়েক দিন ধরে ভাইরাল। সেই সঙ্গে সবার কৌতুহল, বাস্তবে দোল উৎসব কী ভাবে উদযাপন করছেন পর্দার ঋষিরাজ-প্রিয়দর্শিনী ওরফে শন বন্দ্যোপাধ্যায়-সৃজলা গুহ?
অনুরাগীদের প্রশ্ন আনন্দবাজার অনলাইন পৌঁছে দিয়েছে দুই অভিনেতার কাছে। কী বলছেন তাঁরা?
দোল উপলক্ষে শুক্র, শনিবার দু’দিন ছুটি। শন সপরিবারে পৌঁছে গিয়েছেন পণ্ডিচেরি। সেখানেই সবার সঙ্গে ছুটি কাটাবেন তিনি। অল্প আবিরও ছুঁইয়েছেন। অভিনেতার কথায়, ‘‘হুল্লোড় কোনও দিনই করতে পারি না। ছোটবেলায় বোর্ডিং স্কুলে থাকতাম। বরাবরই দূর থেকে সব কিছু দেখতে ভালবাসি। বড় হয়েও সেই অভ্যেস যায়নি। সবাই আনন্দে মাতেন। আমি দূর থেকে উপভোগ করি।’’ এ দিকে, পর্দায় তো দোল খেলেছেন ঋষিরাজ! নেটওয়ার্কের সমস্যা। তার মধ্যেই ফোনে হাসি ভেসে আসে। ‘ঋষিরাজ’-এর দাবি, সবটাই কিন্তু চিত্রনাট্যের খাতিরে।
অনুরাগীরা ঋষি-পিহুর দোলখেলা দেখে অনুপ্রাণিত। বাস্তবে কি রোহন ভট্টাচার্যের রঙে রং মেশাচ্ছেন সৃজলা গুহ? প্রশ্ন শুনেই এক দফা হাসি নায়িকারও। এবং দাবি, ‘‘আমি মানুষটাই মনেপ্রাণে এত রঙিন যে আলাদা করে রং খেলে রঙিন হতে হয় না!’’ অভিনেত্রী জানিয়েছেন, রঙে অ্যালার্জি তাঁর। ছোট থেকেই দোল থেকে শতহস্ত দূরে। বড় হয়েও সে অভ্যেস পাল্টায়নি। দু’দিনের ছুটিতে নিজের মতো করে সময় কাটাবেন। পোষ্যদের সময় দেবেন। শুক্রবার দিদি, জামাইবাবু, বোন আসবেন। তাঁদের সঙ্গে দুপুরে জমিয়ে ভুরিভোজ। রোহন তাঁর মতো করে বসন্ত উৎসব উপভোগ করছেন।
সেটে কিন্তু তুমুল দোল খেললেন শন-সৃজলা। ‘পিহু’র কথায়, ‘‘চিত্রনাট্য অনুযায়ী ঋষিরাজ এবং পিহুর জেদ, তারা একে অন্যকে ছাড়া আর কারও সঙ্গে দোল খেলবে না। তাই সেটে খুব সমস্যা হয়নি। শুধু শনই আমায় রং দিয়েছে। টানা তিন দিন রং খেলেছি দু’জনে। খাওয়াদাওয়া ভুলে! সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আমার অ্যালার্জির জন্য ভেষজ আবির, ফাগ, রং আনা হয়েছিল। ফলে, খুব সমস্যা হয়নি। এর জন্যে কৃতজ্ঞ প্রযোজনা সংস্থা অ্যাক্রোপলিস এন্টারটেনমেন্ট, পরিচালক এবং আমার সহ-অভিনেতাদের কাছে।’’
পর্দার বসন্ত উৎসব উদযাপন কি বাস্তবেও ছায়া ফেলছে? তাই কি দোলে সৃজলার থেকে দূরে রোহন? সৃজলার দাবি, ‘‘এই ভুল অনুরাগীরা করছেন। ঋষিরাজ-পিহুর রসায়ন, দোল খেলা দেখে মন্তব্য বাক্স উপচে তাঁদের অনুরোধ, ‘দিদি তোমরা বিয়ে কর।’’ তার পরেই ‘পিহু’র পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘আমি অভিনেত্রী। জানি, সবটাই হচ্ছে চিত্রনাট্যের খাতিরে। আমার কি এই ভুল করা সাজে?’’ শনের সম্পর্কে তাঁর মত, সহ-অভিনেতার ক্ষেত্রে ‘এখানে আকাশ নীল’-এর নায়ক একেবারে নিখুঁত। সেটে ভীষণ সহযোগিতা করেন। দারুণ ভদ্রও। এর বেশি আর কিচ্ছু নেই তাঁদের মধ্যে।