বড়দিনে ‘যশরত’
চমকের যেন শেষ নেই! দেবের ছবির প্রচারে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। প্রিমিয়ারে দম্পতি ‘যশরত’!
২৫ ডিসেম্বর দেবের জন্মদিন। প্রতি বছরই ২৪ ডিসেম্বর আগাম ফিরতি উপহার হিসেবে দর্শকদের একটি করে ছবি উপহার দেন তিনি। এ বার দিয়েছেন সকলের মন ভাল করার ‘টনিক’। তারই প্রথম প্রদর্শন উপলক্ষে প্রেক্ষাগৃহে হাতে হাত রেখে হাজির যশ দাশগুপ্ত, নুসরত জাহান।
একই ধরনের মুখোশে মুখ ঢেকেছেন দু’জনে। নীল ডেনিমের শার্ট, কালো ট্রাউজার্সে যশ সুদর্শন। জিন্স আর সাদা-কালো চেকস গরম পোশাকে নুসরত সত্যিই ‘কলেজ গার্ল’! প্রেক্ষাগৃহেই এক সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে যশ জানিয়েছেন, তাঁদের ‘টনিক’ তাঁদের ছেলে ঈশান দাশগুপ্ত। বড্ড ছোট। তাই সঙ্গে আনেননি। বড়দিনের পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেছেন তাঁরা। যশের কথায়, ছেলে ছোট বলে এ বছর সে বড়দিনের আগের রাত-পার্টি থেকে বাদ। এ বছর নুসরত আর তিনিই বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করবেন।
নুসরত জন্মদিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁর পর্দার ‘নায়ক’কে। বলেছেন, ‘‘ঘটনাচক্রে ত্রাতা যিশু এবং দেবের জন্মদিন এক দিনে। তাই প্রতি বছর আগের দিন দেব আগাম উপহার দিয়ে দেন অনুরাগীদের। এ বছরেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।’’
দেব না হয় উপহার দিচ্ছেন তাঁর অনুরাগীদের। সান্তাক্লজ কী উপহার দিচ্ছেন নুসরত-পুত্র এবং ঈশান-জননীকে?
অভিনেত্রী-সাংসদের খোলস ছেড়ে নিমেষে বেরিয়ে এসেছেন ‘মা’ নুসরত। বাকি মা-দের মতো করেই বলেছেন, এখন তো ঈশানের পাওয়া যাবতীয় উপহার তাঁর! আর তাঁকে সান্তা আগাম উপহার দিয়ে দিয়েছে। সেই উপহার তার একরত্তি ছেলে।
কথা শেষেই তড়িঘড়ি বেরিয়ে যান তারকা ‘দম্পতি’। প্রেক্ষাগৃহের বাইরে তখন দেবের জন্মদিন উদযাপনের প্রস্তুতি। বাড়ির আকারে বিশাল কেক। সে বাড়ির ছাদে ক্যাডবেরিতে লেখা দেবের নাম। ‘টনিক’-এর দুই পাশে শকুন্তলা বড়ুয়া এবং নিজের মা। আর এক পাশে তাঁর বাবা।
আনন্দে ঝলমল করেছেন দেবের ‘দেবী’ রুক্মিণী মৈত্রও। সাদা-কালো ডোরা কাটা ড্রেস। মাথার উপরে তুলে বাঁধা খোঁপা, কানে দুলেছে বড় রিং। সব মিলিয়ে অভিনেত্রী পুরোদস্তুর পার্টির মেজাজে। ছিলেন নতুন ছবির পরিচালক অভিজিৎ সেনও। বাড়ি-কেক কেটে দেব সবার আগে তুলে দেন মায়ের মুখে। বলেন, ‘‘আগামী বছর থেকে ২৪ ডিসেম্বর জন্মদিন পালন হবে ‘টনিক’-এর পরিচালকের।’’
একটু দূরে দাঁড়িয়ে দেবের বাবা গুরু অধিকারী। ছেলের যশ-খ্যাতিতে তাঁর কি তখন চোখে জল, মুখে হাসি?