ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচী।
পুজোর চার দিন আগে কেমো থেরাপি। ঐন্দ্রিলা শর্মার মুখে হাসিটি কিন্তু লেগেই আছে। কেউ যদি জানতে চান, 'কেমন আছ?' চওড়া হেসে বলছেন, “খুব ভাল আছি। আমার রাশিফল ভাল যাচ্ছে।” এমন বলার পিছনে যথেষ্ট কারণ আছে। কী সেটি? আদতে ক্যানসারের সঙ্গে লড়তে লড়তে কতটা ক্লান্ত অভিনেত্রী? বৃহস্পতিবার রাতে ফের ফেসবুকে পুরো ছবি তুলে ধরলেন ‘বামদেব’ সব্যসাচী চৌধুরী। তাঁর মতোই তাঁর প্রেমিকাকে নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই অনুরাগীদের। তাই প্রতি মাসে ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্যের খবর তিনি জানান।
প্রিয়জনের জন্য উদ্বিগ্ন সব্যসাচীও। অকপটে লিখেছেন, ‘আসলে, ঐন্দ্রিলা ‘ভাল আছে’ বলতে আমার ভয় লাগে। সত্যি বলতে, চোখের সামনে আমি যা দেখেছি এবং নিয়মিত দেখছি, সেটিকে ভাল থাকা বলে না। সেটিকে অস্তিত্বের লড়াই বলে।’ তার পরেই তিনি জানিয়েছেন ‘জিয়ন কাঠি’ ধারাবাহিকের অভিনেত্রীর হাসিমুখে জবাব দেওয়ার পিছনের করুণ কাহিনি। বছরের শুরুতে এক জ্যোতিষী নাকি হাত দেখে তাঁকে বলেছিলেন, “রাশিফল ভাল যাচ্ছে! এই বছর তোমায় নীচের দিকে তাকাতেই হবে না।” তার পর থেকেই অভিনেত্রীর সবাইকে সহাস্য জবাব, রাশিফলের সৌজন্যে তিনি খুব ভাল আছেন। একই সঙ্গে সব্যসাচীর ব্যঙ্গোক্তি, ‘মাথার উপরে সিলিং ফ্যান আর ঝুলন্ত কেমোর বোতল দেখেই ওর বছর পার হতে চলল!’
মেরুদণ্ডের পর ফুসফুসে ক্যানসার বাসা বেঁধেছে। প্রাণ বাঁচাতে অস্ত্রোপচারে বাদ গিয়েছে ফুসফুসের আক্রান্ত অংশ। এখন কেমো থেরাপি চলছে। কেমো নেওয়ার পর কয়েক রাত বড্ড কষ্ট পান ঐন্দ্রিলা। শ্বাসকষ্ট হয়, রক্তচাপ নেমে যায়। যন্ত্রণায় কুঁকড়ে ওঠে সারা শরীর। সব্যসাচীর কথায়, আধখানা ফুসফুস বাদ যাওয়াতে সবটাই বড় কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কড়া ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অভিনেত্রীকে অচেতন করে রাখা হয় ওই কয়েকটা দিন। আর বাকি দিনগুলো? অভিনেতার দাবি, দিব্যি ঠিক থাকেন ঐন্দ্রিলা। পুজোর জন্য অনলাইন শপিং সারেন। সব্যসাচীর উপর হম্বিতম্বি, লেজওয়ালা বাচ্চাদের (পোষ্য সারমেয়) তদারকি, সবটাই নিজের হাতে পরিপাটি ভাবে পালন করেন।