অভিযোগ, উত্তমকুমারের নাতি গৌরব এবং পরিবারের আরও চার জন চুক্তির শর্ত অমান্য করেছেন।
আইনি জটে জড়িয়েছেন অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায়। অতনু বসুর ছবি ‘অচেনা উত্তম’-এর প্রযোজনা সংস্থার তরফে মঙ্গলবার সকালে তাঁকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। শুধু তাঁকেই নয়, ‘অতি উত্তম’ ছবির পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং প্রযোজনা সংস্থা ক্যামেলিয়া প্রোডাকশন হাউসেও আইনি নোটিস গিয়েছে। অভিযোগ, উত্তমকুমারের নাতি গৌরব এবং পরিবারের আরও চার জন চুক্তির শর্ত অমান্য করেছেন।
আনন্দবাজার অনলাইনকে গৌরব বললেন, ‘‘সৃজিতদা যে ছবিটি বানাচ্ছেন, সেটা তো আর জীবনীচিত্র নয়। ‘অচেনা উত্তম’-এর প্রযোজনা সংস্থা অলকানন্দা আর্টসের সঙ্গে আমাদের পরিবারের যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে, তা কেবলমাত্র জীবনীচিত্রের জন্য। সৃজিতদা কেবল কয়েকটি ছবির ক্লিপিংস ব্যবহারের অনুমতি নিয়েছেন। তার থেকেও বড় কথা, দাদুর সেই ছবিগুলির স্বত্ব তো আমার কাছে নেই। যে প্রযোজনা সংস্থার কাছে আছে, তারাই স্বত্ব দিয়েছে সৃজিতদাদের। আমরা কেবল অনুমতি দিয়েছি। আর সেই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে অলকানন্দা আর্টসের সঙ্গে স্বাক্ষরের অনেক আগে।’’
অলকানন্দা আর্টসের দাবি, তাদের সঙ্গে যে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে তাতে বলা ছিল, কেবল মাত্র তারা ছাড়া উত্তমকুমারের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র আর কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। এমনকি উত্তমকুমারের নাম এবং ছবিও ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু সৃজিত পরিচালিত সেই ছবির পোস্টার মুক্তি পাওয়ার পরেই দেখা গিয়েছে, শিরোনামে উত্তমের নাম এবং ছবি ব্যবহৃত হয়েছে। তা ছাড়া ‘উত্তমকুমারের নাতি’ হিসেবে অভিনয় করছেন গৌরব। চুক্তি অনুযায়ী, উত্তমকুমারের পরিবারের কোনও সদস্য তাঁদের আসল পরিচয় নিয়ে কোনও ছবিতে অভিনয় করতে পারবেন না। করতে চাইলে অলকানন্দা আর্টসের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
অলকানন্দা আর্টসের পক্ষ থেকে আনন্দবাজার অনলাইনকে জানানো হল, বড় টাকার অঙ্কে উত্তমকুমারের স্বত্ব কেনাবেচা হয়েছে। তার পরেই উত্তমকুমারের মৃত্যুর ৪১ বছর পার হয়ে প্রথম বার তাঁর জীবনীচিত্রের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। সেই প্রসঙ্গে গৌরব বললেন, ‘‘দাদুর জীবনীচিত্রের স্বত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের কেবল কয়েক বছরের জন্য নয়। প্রযোজকের সারা জীবনের জন্য। আমার তো ধারণা, হিসেব করলে, তার মূল্য হওয়া উচিত কোটির কাছে। কিন্তু আমার মতে, অত টাকার হিসেব তো হয়নি।’’ গৌরবের বক্তব্য, একজন অভিনেতা হিসেবে তিনি যে কোনও চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন। সেটি তাঁর পেশা। সেখানে কারও কোনও বক্তব্য থাকতে পারে না বলেই তাঁর দাবি।
আপাতত গৌরব চুক্তিগুলি নিয়ে তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছেন। খুব তাড়াতাড়ি আইনি নোটিসের জবাব দিতে পারবেন বলেই জানালেন উত্তম-পৌত্র।