২ নভেম্বর শাহরুখ খানের জন্মদিন। ফাইল চিত্র।
২ নভেম্বর, বুধবার বলিউডের ‘বাদশা’-র জন্মদিনে রইল সেরা ৫ ছবি, যা এখনও কাঁদায় অথবা ভাবায় দর্শককে।
দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে
শাহরুখ খান এবং কাজল অভিনীত কালজয়ী ছবি। ১৯৯৫ সালে আদিত্য চোপড়ার পরিচালনায় সাড়া ফেলেছিল ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’। কথায় বলে, বাধা না আসলে নাকি প্রেম জোরালো হয় না। এই ছবির চিত্রনাট্যেও নায়ক-নায়িকার মিলন হয় বহু সংগ্রামের পর। নিজের নিজের বন্ধুদের নিয়ে ইউরোপে ঘুরতে গিয়েছিল রাজ আর সিমরন। সুইৎজ়ারল্যান্ডে মেলামেশা। সেখানেই প্রেমের শুরুয়াত। কিন্তু কেউ কাউকে বলে উঠতে পারে না। কাজল ওরফে সিমরানকে রাজ তথা শাহরুখের সঙ্গে সম্পর্কে যেতে দেয় না বাবা (অমরেশ পুরী)। বাকিটা ইতিহাস।
কাল হো না হো
২০০৩ সাল। পরিচালক নিখিল আডবাণী সাড়া ফেলেছিলেন ‘কাল হো না হো’-র মতো ছবি উপহার দিয়ে। কেঁদে ভাসিয়েছিল দর্শক। নতুন করে উপলব্ধি করেছিলেন জীবনকে। হার্টের অসুখে আক্রান্ত জেনে নিজের প্রেমকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল আমন। যে চরিত্রে মন ছুঁয়ে গিয়েছিলেন শাহরুখ খান। প্রেমিকা প্রীতি জিন্টা যাতে অন্য চরিত্র রোহিতের (সইফ আলি খান) সঙ্গেই সম্পর্কে যান, তার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন নায়ক।
স্বদেশ
নাম দিয়েই যায় চেনা। দেশপ্রেমে সম্পৃক্ত ছবি ‘স্বদেশ’। ২০০৪ সালে আশুতোষ গোয়ারিকর দেশবাসীর চোখে জল এনেছিলেন। নাসায় কাজ করা বিজ্ঞানী মোহন দেশের মানুষের টানে চাকরি ছেড়ে ফিরে এসেছিলেন নিজের গ্রামে। সবার মুখে হাসি ফুটিয়ে দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় কাজ নিয়েছিলেন।
চক দে ইন্ডিয়া
বলিউডের প্রেমিক শাহরুখকে সবাই চিনে নিয়েছিলেন। তবে ২০০৭ সালে শিমিত আমিনের পরিচালনায় শাহরুখ ধরা দিয়েছিলেন নতুন রূপে। প্রাক্তন হকি খেলোয়াড় কবির খান তার দলকে জেতাতে পারেনি। তাই একা হয়ে ফিরে আসার অপেক্ষায় ছিল সে। সুযোগ এল অন্য ভাবে। ভারতীয় মহিলা হকির দল তৈরি করে বিশ্বে তাক লাগিয়ে দিল প্রশিক্ষক কবির খান। অসাধারণ অভিনয়ে মুগ্ধ করেছিলেন শাহরুখ।
মাই নেম ইজ় খান
২০১০ সালে কর্ণ জোহর পরিচালিত এই প্রেমের ছবি বিষাদঘন। যুদ্ধের ধূসরতায় শাহরুখ-কাজল জুটির রসায়ন দর্শককে ভাবিয়েছিল ফের। অ্যাসপারগার্স সিন্ড্রোমে আক্রান্ত রিজ়ওয়ান বিয়ে করেছিল মন্দিরাকে। তার পর আমেরিকায় টুইন টাওয়ার ধ্বংসের মধ্যে দিয়ে নতুন যাত্রা শুরু রিজ়ওয়ানের। এ ছবি আত্ম অনুসন্ধানের।