Chanchal Chowdhury

শনিবার সকাল থেকে কলকাতার ‘হাওয়া’ গরম! নন্দনে অ‘চঞ্চল’ ভিড়

মেজবাউর রহমান সুমনের পরিচালিত ‘হাওয়া’ বাংলাদেশের পর এ বার ঝড় তুলল কলকাতায়। নন্দনে চতুর্থ বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবে এই ছবি দেখার জন্য আড়াই ঘণ্টা আগে থেকে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলেন দর্শক।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২২ ১৮:০৬
চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত বাংলাদেশি ব্লকবাস্টার ‘হাওয়া’ দেখার জন্য উদ্‌গ্রীব কলকাতার দর্শক।

চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত বাংলাদেশি ব্লকবাস্টার ‘হাওয়া’ দেখার জন্য উদ্‌গ্রীব কলকাতার দর্শক। নিজস্ব চিত্র।

শো শুরু হবে দুপুর ১.৩০টা নাগাদ। নন্দনে। বেলা ১১.১৫-এ দর্শকের লম্বা লাইন নন্দন ছাড়িয়ে গগনেন্দ্র শিল্পপ্রদর্শনশালার সামনে দিয়ে ঘুরে গিয়েছে।

কিসের লাইন? চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত বাংলাদেশি ব্লকবাস্টার ‘হাওয়া’ দেখার জন্য উদ্‌গ্রীব কলকাতার দর্শক।

Advertisement

দমকা ‘হাওয়া’ ঝড় তুলেছিল বাংলাদেশে। চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত, মেজবাউর রহমান সুমনের পরিচালিত এই ছবি চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষে মুক্তি পেয়েছিল বাংলাদেশে। বক্স অফিসে বিপুল সাফল্য পাওয়ার পাশাপাশি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল ছবির একটি গানও (‘সাদা সাদা কালা কালা...’)। সেই গান লোকের ফোনে ফোনে ঘুরে পৌঁছে গিয়েছিল এ পার বাংলার দর্শকের হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টা-রিলেও। তাই সেই ছবি দেখার সুযোগ পেলে যে শহরবাসী ছাড়বেন না, তা তো জানা কথা।

 চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথম দিন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ‘হাওয়া’র দু’টি শো। দুপুরের শোয়ের জন্য লাইন পড়েছিল বেলা ১১টা থেকে।

চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথম দিন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ‘হাওয়া’র দু’টি শো। দুপুরের শোয়ের জন্য লাইন পড়েছিল বেলা ১১টা থেকে। নিজস্ব চিত্র।

হলও তাই। চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথম দিন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ‘হাওয়া’র দু’টি শো। দুপুরের শোয়ের জন্য লাইন পড়েছিল বেলা ১১টা থেকে। সন্ধ্যা ৬টার শো-এ এমন ভিড় হল যে, নন্দনের মূল গেট বন্ধ করে দিতে হল। ওটিটি প্ল্যাটফর্মের দৌলতে চঞ্চল চৌধুরীকে এখন ভালই চেনেন এখানকার দর্শক। ‘কারাগার’ দেখার পর তাঁর অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোটা টলিউডও। তাই তাঁর অভিনীত সুপারহিট ছবি নিয়ে যে উৎসাহ থাকবেই, তা প্রত্যাশিত। ভিড় হবে তা জানাই ছিল। কিন্তু এত মানুষের ঢল উপচে পড়বে, তা বোঝা যায়নি। বেহালা থেকে বারাসত— শহরের সব অঞ্চল থেকেই দর্শক ছুটে এসেছেন এই ছবি দেখতে।

দুপুরের শো দেখতে হাজির ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও। ছবি শেষে মঞ্চে উঠে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন উপস্থিত চঞ্চল চৌধুরীকে। চঞ্চলও এ পার বাংলার দর্শকের কাছ থেকে এমন সাড়া পেয়ে আপ্লুত।

সন্ধ্যার শো-তেও বহু তারকাকে লাইন দিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেল প্রেক্ষাগৃহের সামনে। ফের লাইন গড়াল বহু দূর। নন্দনে ঢোকার জন্য অপেক্ষায় দর্শকদের লম্বা লাইন পৌঁছল বাংলা আকাদেমি পর্যন্ত। কিছু ক্ষণেই ভরে যায় সব আসন। তবে শনিবারই শেষ নয়। একটি করে শোয়ে ‘হাওয়া’ দেখানোর কথাই ছিল আগামী ৩১ অক্টোবর এবং ২ নভেম্বর নন্দন ২-এ। তবে দর্শকের এমন উৎসাহ দেখে সোমবার, ৩১ তারিখ সকাল ১০টায় আরও একটি শোয়ের আয়োজন করা হয়েছে। নন্দন কর্তৃপক্ষ যখন এই ঘোষণাটি করছেন, তখনও বাইরে প্রায় ২০০-২৫০ দর্শক অপেক্ষা করছেন, যদি প্রেক্ষাগৃহে কোনও ভাবে ঢোকে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement