Belashuru

Soumitra-Swatilekha: সৌমিত্র-স্বাতীলেখাকে ফিরে দেখা, ‘বেলাশুরু’র প্রদর্শনী সাজল টাইপরাইটার-ভায়োলিন-চিরুনিতে

দু’দিনের প্রদর্শনীতে ফিরে দেখা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও স্বাতীলেখা সেনগুপ্তকে। নবীনা সিনেমাহল সেজে উঠল দুই তারকার ব্যবহৃত জিনিসপত্রে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২২ ১৭:৩৫
‘বেলাশুরু প্রদর্শনী।’ 

‘বেলাশুরু প্রদর্শনী।’  নিজস্ব চিত্র।

দেওয়াল জুড়ে স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত আর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বুধবার সকালে প্রবীণ তারকা-জুটির স্মৃতিতে সেজে উঠল নবীনা সিনেমাহলের প্রাঙ্গণ। উপলক্ষ, ‘বেলাশুরু প্রদর্শনী।’ এ যেন মা ও বাবাকে ফিরে দেখার বেলা। চার পাশ ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন সৌমিত্র-কন্যা পৌলমী বসু এবং স্বাতীলেখার কন্যা সোহিনী সেনগুপ্ত। এক দিকে রাখা ভায়োলিন, কোথাও আবার টাইপরাইটার। শ্যুটিংয়ের সেই টাইপরাইটারে ধরা সৌমিত্রের হাতের ছোঁয়া। এই ভায়োলিনই তো বাজাতেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত! এক পাশে রাখা সেই চিরুনি, যা দিয়ে আদরে-যত্নে পর্দার স্ত্রী স্বাতীলেখার চুল আঁচড়ে দিতেন সৌমিত্র। দু’জনের টুকরো টুকরো স্মৃতিকেই এক ছাদের তলায় নিয়ে এলেন ছবির পরিচালক জুটি নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। দু’দিনের প্রদর্শনীর সূচনায় মধ্যমণি হয়ে উঠেছিলেন আর এক বর্ষীয়ান অভিনেত্রী, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইনকে শিবপ্রসাদ বলেন, “শিল্পীরা যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের দর্শক এক ভাবে দেখে থাকেন। কিন্তু যাঁরা আজ আমাদের মধ্যে নেই, তাঁদের ব্যবহৃত জিনিস যদি আরও এক বার চোখের সামনে দেখা যায়, সে তো এক অন্য রকম প্রাপ্তি।” প্রদর্শনীতে দর্শকের অবারিত দ্বার। বেলা ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে নবীনায় গেলেই ফিরে দেখা যাবে সৌমিত্র-স্বাতীলেখার রোজনামচার টুকিটাকি। প্রদর্শনীতে স্বাতীলেখার ভায়োলিন ছাড়াও রয়েছে তাঁর হারমনিকা, যা তিনি কিনেছিলেন সোহিনীর জন্য। কিন্তু বাজাতেন নিজেই। রয়েছে ‘মাধবী’ নাটকের চিত্রনাট্য, ‘নাচনী’ , ‘অজ্ঞাতবাস’ নাটকের পোশাক, চিরুনি এবং আরও অনেক কিছু। অন্য দিকে সৌমিত্র-ভক্তরা চাক্ষুষ করবেন ‘মৃগয়া’, ‘বিদেহী’ নাটকের সাজ, ‘টাপাটিনি’র পোশাক। রয়েছে অসংখ্য চিঠিও।

পরিচালকের কথায়, “এ এক মস্ত বড় দায়িত্ব। সোহিনী, পৌলমীকে যে মুহূর্তে প্রস্তাব দিয়েছিলাম, সঙ্গে সঙ্গে ওঁরা রাজি হয়ে যান। আশা করি এই গুরুদায়িত্ব ঠিক ভাবে পালন করতে পারব।” শিবুর স্ত্রী, চিত্রনাট্যকার জিনিয়া সেনের গলায়ও একই সুর। তাঁর কথায় , “পৌলমীদিরা খুব বিশ্বাস করে আমাদের এই দায়িত্ব দিয়েছেন। এই বড় চ্যালেঞ্জ ভাল ভাবে পালন করার আশা রাখি। দর্শকের কাছেও একটাই অনুরোধ, যেন কোনও ভাবেই ক্ষতি না হয় এ সব স্মৃতি বিজড়িত জিনিসের।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আরও পড়ুন
Advertisement