নতুন ছবির শুটিংয়ের ফাঁকে খোলামেলা আড্ডায় শ্রাবন্তী। ফাইল-চিত্র।
প্রশ্ন: কেমন আছেন?
শ্রাবন্তী: দেখে কী মনে হচ্ছে? বেশ ভালই চলছে।
প্রশ্ন: বাংলা ছবির বিষয় দিনে দিনে গম্ভীর হচ্ছে, নাচ-গান এখন কম হচ্ছে। সেখানে ‘হাঙ্গামা ডট কম’ ছবির জন্য রাজি হলেন কেন?
শ্রাবন্তী: মজার গল্প। দারুণ চিত্রনাট্য। ভীষণ উপভোগ করছি। কাজের চাপে মানুষ এখন আনন্দ করতে ভুলে যাচ্ছে। এই ছবিগুলোর মাধ্যমে যদি একটু ব্যস্ততা ভুলতে পারে তারই চেষ্টা।
প্রশ্ন: ‘বুনো হাঁস’, ‘গয়নার বাক্স’ থেকে এখন ‘হাঙ্গামা ডট কম’— আপনি নিজে কেমন ছবি পছন্দ করেন?
শ্রাবন্তী: আমি সব দেখতে ভালবাসি। এই মুহূর্তে ওয়েব সিরিজ ‘ফোর মোর শটস প্লিজ’-এ মগ্ন আমি।
প্রশ্ন: ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ২৫ বছর পার। বাণিজ্যিক ঘরানার ছবিতে এখনও প্রথম সারিতে শ্রাবন্তী, শুভশ্রীরা। নতুন নায়িকা তৈরি হচ্ছে না কেন?
শ্রাবন্তী: আমরা এখনও নতুন প্রজন্মেরই। (হেসে) না না মজা করছি। দেখুন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়। এখন তো ‘ওটিটি’র যুগ। আমরা যখন শুরু করেছি, তখন প্রেক্ষাগৃহে গেলে উপচে পড়ত ভিড়। এখন মাচায় যেমনটা হয়। এখন দর্শকের স্বাদ পরিবর্তন হয়েছে। তাই সেই ভাবে ‘নায়ক-নায়িকা’র ভেদাভেদটা দিনে দিনে মুছে যাচ্ছে।
প্রশ্ন: কিছু দিন আগে দেখা গেল নুসরত, শুভশ্রীদের সঙ্গে আপনি পার্টি করছেন, এটা কি নিখাদ বন্ধুত্ব না কি ‘পিআর’ কৌশল?
শ্রাবন্তী: এ গুলো সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আমি, মিমি, নুসরত, শুভশ্রী সবাই খুব ভাল বন্ধু। একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করি। মজা করি। ওরাও আমায় খুব ভালবাসে। বিন্দাস বন্ধুত্ব। আমাদের রাগারাগিও হয় আবার তার পর একে অপরকে মানানোর পালাও চলে।
প্রশ্ন: ২৩ বছরে নায়িকা শ্রাবন্তীকে কী কী সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে?
শ্রাবন্তী: এতগুলো বছরের কেরিয়ার আমায় শিখিয়েছে ধৈর্য ধরতে। আর শিখেছি কোনও ব্যক্তিগত সমস্যাকে কখনও শুটিং ফ্লোরে আনা যাবে না। তা হলেই ক্যামেরা আমার মনে কী চলছে ধরে ফেলবে। নিজের সমস্যাকে গোপন করা খুব কঠিন। আবেগকে লুকিয়ে রাখা ভীষণ কঠিন।
প্রশ্ন: আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তো কম কাটাছেঁড়া হয়নি, সমাজমাধ্যমেও প্রচুর কটাক্ষ করা হয়। দেখে ইচ্ছে হয় উত্তর দিতে?
শ্রাবন্তী: আমার ভাল লাগে না। ওঁরা আমায় নিয়ে কথা বলে আনন্দ পাচ্ছেন। আমি বিনোদন জোগাচ্ছি! তা ছাড়া এই সব করে অনেকে রোজগারও করেন! বিশ্বাস করুন, আমার একটুও গায়ে লাগে না। আবার এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁরা আমায় সমর্থনও করেন। সেটাও তো দেখা উচিত। আমি কাউকে জাজ করি না।
প্রশ্ন: আর আপনাকে মানুষ যে জাজ করে, তখন?
শ্রাবন্তী: কিছু করার নেই। সবাই তো আর শ্রাবন্তী হবে না। শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় একটাই হয়!
প্রশ্ন: ছেলে ঝিনুকও তো টলিউডে পা রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন...
শ্রাবন্তী: জানি না ও কী করবে! আগামী বছর উচ্চমাধ্যমিক। আগে সেটা ভাল করে দিক, তার পর না হয় এই সব নিয়ে ভাববে।